তৃণমূল নয়, বাম আমলেই উত্থান অয়নের ! 

0
1

রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একের পর এক নাম উঠে এসেছে, যার সাম্প্রতিকতম সংযোজন অয়ন শীল (Ayan Shil)। ইডির (ED) স্ক্যানারে এই নাম উঠে আসার পর থেকেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদের পথে হেঁটেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । এবার ইডির নজরে ইমন গঙ্গোপাধ্যায় (Imon Ganguly)। জানা যাচ্ছে অয়ন শীলের ছেলে অভিজিৎ শীলের বান্ধবী এই ইমন গঙ্গোপাধ্যায়। উত্তরপাড়া পুরসভার (Uttarpara Municipality) অমরেন্দ্র সরণির দাসরথি অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় ফ্লোরের ২০২ নং রুমে বাবা বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেই থাকেন ইমন গঙ্গোপাধ্যায় (Imon Ganguly)। তাঁর বাড়ির ফ্ল্যাটে বারবার ডাকাডাকি করেও আজ সকাল থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। সত্যিই কি অয়ন শীল সম্পর্কিত কোনও তথ্য মিলবে তাঁর কাছে? স্থানীয়রা বলবেন তাঁরা এই বিষয় সম্পর্কে সেভাবে অবগত নন। কিন্তু বিরোধীরা বারবার তৃণমূলের দিকে আঙুল তুললেও এই অয়নের বাড়বাড়ন্ত শুরু বাম জমানায়। ইতিমধ্যেই নথি ঘেঁটে যে তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা তা থেকে স্পষ্টতই বাম আমলের যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

হুগলি জেলার বাসিন্দা অয়ন শীলের নামে একাধিক অভিযোগ উঠছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে শুধু শিক্ষা নয় পুরসভার চাকরি বিক্রিতেও তাঁর নাম জড়িয়েছে। এই অয়নের কাণ্ড কারখানা শুরু হয় সেই সময় যখন রাজ্য জুড়ে বাম আধিপত্য বজায় ছিল। অর্থাৎ ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার অনেক আগে থেকেই নিজের সম্পত্তি বাড়ানোর নেশায় একাধিক দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন অয়ন শীল বলেই অভিযোগ উঠছে। হুগলি জেলাপরিষদ থেকে চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্র সবটাই যখন লাল দখলে ছিল, তখন থেকেই এই চাকরি বিক্রি করতে শুরু করেন অয়ন বলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাচ্ছে। অয়ন যে সময় থেকে চাকরি নিয়ে এই সব ঘোটালা করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় এলাকার বিধায়ক ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন দে । তিনি আবার বাম সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। তখন জেলাপরিষদও ছিল বামেদের দখলে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর বাম নেতা মন্ত্রীদের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ ছিলেন অয়ন শীল। ধৃত অয়ন শীলকে সেভাবে চেনেন না বলেই জানিয়েছে হুগলি জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের যে বাম জমানায় অয়নের উত্থান সঠিক তদন্ত হলে অনেক বাম নেতা মন্ত্রীর নাম উঠে আসবে এই চাকরি নিয়ে দুর্নীতির মামলায় ।