কেষ্টর মাথা থেকে এবার হাত তুলতে চলেছে তৃণমূল? রাজ্যের মন্ত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য

0
2

গরু পাচার মামলায় রেহাইয়ের কোনও সম্ভাবনা তো নেই, বরং তদন্ত যত এগিয়ে চলেছে ততই আরও প্যাঁচে পড়ছেন অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লিতে ইডি হেফাজত শেষে এবার অনুব্রতর ঠিকানা তিহার জেল। আজ, দু’পক্ষের শুনানি শেষে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এদিন নাম না করে বীরভূমের কেষ্টকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। আর তাতেই অনেকে মনে করতে শুরু করেছেন , এবার কি তাহলে অনুব্রতর মাথা থেকেও হাত তুলতে চলেছে তৃণমূল?

নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল আগেই বহিষ্কার করেছে। এরপর একে একে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সাসপেন্ড করে দল। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি শাসক দল। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। তারপর অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের সম্পর্কে তদন্তে রোজ রোজ যে সকল চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে, তাতে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে।

সেই আবর্তে দাঁড়িয়ে আজ, মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিন তিনি বলেন, “গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্তদের দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যা হচ্ছে তা হতে দিন। আমরা আবারও বলছি, এটা ত্বরান্বিত হোক। এই তদন্ত দ্রুত শেষ করতে হবে। এটা চলতে দেওয়ার অর্থ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে, তারপর ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার মধ্যে এভাবেই দলের চরিত্রহনন চলছে। তবে তৃণমূলের কেউ যদি দুর্নীতি করে থাকে সেই দায় তাঁকেই নিতে হবে। দল দুর্নীতি কাউকে করতে বলেনি। দল দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। দল কাজ করার জন্য সুযোগ দিয়েছে, চুরি করার জন্য নয়। দল মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। জেলা সভাপতি তো ছোট বিষয়।” তাঁর এমন মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলে অনুব্রতর ভবিষ্যত নিয়ে।

আরও পড়ুন- পুরীতে মমতা: বুধে মন্দিরে পুজো, গেস্ট হাউসের জমি পরিদর্শন