সাম্প্রতিক সময়ে লিভ-ইন সম্পর্কে(Live In Relation) একের পর এক নৃশংস অপরাধের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যার জেরেই লিভ-ইন সম্পর্ক নথিভুক্তকরণের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে(Supreme Court)। তবে পত্রপাঠ এই মামলা খারিজ করার পাশাপাশি আবেদনকারীকে রীতিমতো তিরস্কার করল আদালত।
লিভ ইন সম্পর্কে যাঁরা আছেন, তাঁদের সামাজিক সুরক্ষার জন্য এই ধরনের সম্পর্ক নথিভুক্তিকরণের বিষয়ে কেন্দ্র যাতে নির্দেশিকা জারির করে সুপ্রিম কোর্টে এমনই আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা রানী নামে এক আইনজীবী। তিনি বলেছিলেন, আদালত সবসময় লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা দেশের সকল নাগরিককে সুরক্ষা দিয়েছে। লিভ-ইন পার্টনারদের পক্ষে অসংখ্য রায় দিয়েছে। লিভ-ইন পার্টনারশিপ নিবন্ধন না করতে পারায়, সংবিধান অনুসারে স্বাধীনভাবে বাঁচার এবং জীবন রক্ষার অধিকার এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। আবেদনে লিভ-ইন সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ করতে আইন প্রণয়নের কথাও বলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে দেশে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করার জন্য একটি তথ্য ভান্ডার তৈরির আবেদনও করা হয়েছিল।
পাশাপাশি লিভইন সম্পর্কে অপরাধের প্রবণতা যেভাবে বাড়ছে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে আবেদনকারী জানান, লিভ-ইন পার্টনারদের বিষয়ে কোনও আইন বা বিধান নেই। এই কারণেই তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। বস্তুত শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের পর গোটা দেশের একটা অংশের মানুষের মধ্যে লিভ-ইন সম্পর্ক নিয়ে একটা নেতিবাচক হাওয়া উঠেছিল। তবে সোমবার, এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার বেঞ্চ। বেঞ্চের মতে, আবেদনটি ভুল ধারণার ভিত্তিতে করা। আবেদনকারীর উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনি কি এই ব্যক্তিদের (যাঁরা লিভ-ইনে আছেন) নিরাপত্তা বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন, নাকি মানুষ লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকুক, তা চান না?” এই ধরনের একটি পিটিশন দাখিল করার জন্য আবেদনকারীকে তিরস্কারও করেছে আদালত।