রাজ্য হোক বা সর্বভারতীয় ক্ষেত্র, তৃণমূল(TMC) নিজের মতো করে কর্মসূচি পালন করবে। পাশাপাশি সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার নিচে আনার চেষ্টা চালাবে। আসন্ন পঞ্চায়েত ও ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে(Loksava Election) মাথায় রেখে দলের রণকৌশল ঠিক করতে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কালীঘাটে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই বৈঠকেই কংগ্রেসের(Congress) থেকে দূরত্ব বজার রাখার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।
শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে কালীঘাটে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানেই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে সুদীপ জানান, নিজেদের শক্তিতে রাজ্যের হোক বা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে, তৃণমূল নিজের মতো করে কর্মসূচি পালন করবে। এরপর সাগরদিঘির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সারা দেশে কংগ্রেস কী করছে জানা নেই, তবে বাংলায় বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে কংগ্রেস। ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখবে না তৃণমূল। তবে দেশের আঞ্চলিক দলগুলিকে তৃণমূল যে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাবে প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, “আজ সপা প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ২৩ তারিখ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর দিল্লি যাবেন। মাঝে মধ্যেই সাংগঠনিক বৈঠক করবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যে প্রদেশে যে দল শক্তিশালী সেই দল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। কংগ্রেস যেমন কর্ণাটকে শক্তিশালী, সেখানে কংগ্রেসকে কোনও অবিজেপি দল বিরক্ত করছে না। তাহলে কংগ্রেসের উচিত অন্য রাজ্যে যে আঞ্চলিক দলগুলি বিজেপির লড়াই করছে তাদের সহযোগিতা করা। কিন্তু কংগ্রেস সে পথে হাঁটছে না। কংগ্রেসের বিগ-বসের মতো আচরণ তৃণমূল মানবে না।” পাশাপাশি কংগ্রেস প্রসঙ্গে সুদীপ আরও বলেন, “বিজেপি চায় লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের মুখ হোক, যাতে সহজে কংগ্রেসকে হারানো যায়।”