মুখ পুড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি নিয়ে ফের হাইকোর্টে শুভেন্দু

0
2

তাঁর সাংসদ বাবা শিশির অধিকারী (Sishir Adhikary) এখন কোন দল করেন, তাঁর সাংসদ ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর (Dibyendu Adhikary) রাজনৈতিক অবস্থান কী? এমন প্রশ্নবাণ মাঝে মধ্যেই বিন্ধ করে তাঁকে, সেই আবহে ফের মুকুল রায়কে (Mukul Roy) নিয়ে সরব শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Speaker Biman Banerjee) সিদ্ধান্ত সন্তুষ্ট করতে পারেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শীর্ষ আদালতে মুখ পুড়েছিল দলবদলুর।

শুভেন্দুকে ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেছিল শীর্ষ আদালত। সেইমতো আজ, সোমবার হাইকোর্টে এই বিষয়ে আবেদন জানালেন বিরোধী দলনেতা। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি সিঙ্গল বেঞ্চে পাঠায়। প্রধান বিচারপতি জানান, সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে মামলাটি “রিলিজ” হওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চ শুনবে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর-উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু, ওই বছরই ১১ জুন তৃণমূল ভবনে যান তিনি। তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শুভেন্দুর দাবি, বিজেপি ছাড়লেও বিধায়ক পদ ধরে রেখে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে কখনও স্পিকার, কখনও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল।

শুধু তাই নয়, মুকুলকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (Public Accounts Comittee) চেয়ারম্যান করার বিরোধিতা করে একটি পৃথক মামলাও সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। তখনও শীর্ষ আদালত শুভেন্দুকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেয়।

এরই মাঝে গতবছর ৮ জুন স্পিকার বিজেপির তরফে করা মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। স্পিকারের দাবি, মুকুল রায় এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন। তাই তিনি বিজেপিরই বিধায়ক। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই।