আরেক আখলাখ কাণ্ড এবার বিহারে, পিটিয়ে খু*ন !

0
1

ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে ফিরছিলেন বৃদ্ধ কাকা। বয়স্ক ব্যক্তির হাতে ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। কী রয়েছে ওই ব্যাগের ভেতরে? গো*মাংস নয় তো ! ব্যাস এইটুকু সন্দেহে শুরু হল গণপ্র*হার। পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হল না। বিহারের (Bihar) সারনের ঘটনায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে শোরগোল পড়েছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে এ যেন আখলাখ-কাণ্ডের (Akhlakh Case) পুনরাবৃত্তি বিহারে।

মৃত বৃদ্ধের ভাইপো ফিরোজ আহমেদ কুরেশি (Feroze Ahmed Qureshi) বলছেন তার কাকার ব্যাগে কীসের মাংস ছিল সেটা না জেনেই বয়স্ক মানুষের উপর চড়াও হন একদল গ্রামবাসী। এখানেই শেষ নয়, গরুর মাংস আছে সন্দেহে স্থানীয় পঞ্চায়েতের মুখিয়া গ্রামের যুবকদের দিয়ে তাঁদের পথ আটকে মারধর করার ফতোয়া জারি করে বলে অভিযোগ করছেন ফিরোজ। ঘটনায় পুলিশের উদাসীনতাও স্পষ্ট হয়েছে। ফিরোজ কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচলেও তাঁর কাকাকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ করছেন তিনি। পুলিশ অভিযোগকে গুরুত্ব না দেওয়ায় অনেক দেরি করে আহত নাসিবকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর বুঝে চিকিত্‍সকেরা আহতকে পাটনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যু হয় আহত নাসিবের। এই বিষয়ে সারনের পুলিশ সুপার গৌরব মঙলা (Gaurav Mangla) জানিয়েছেন, ঘটনায় খু*নের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পঞ্চায়েতের মুখিয়া সুশীল সিং-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আশ্চর্য বিষয় হল মৃতের ব্যাগে গরুর মাংস ছিল কিনা সে ব্যাপারে পুলিশ এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।

প্রসঙ্গত বাড়িতে গো*মাংস রাখার গুজব ছড়িয়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে মহম্মদ আখলাখ নামে ৫২ বছরের ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করেন স্থানীয়রা। মারের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁর ছেলে দানিশও। এরপর সেই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে অভিযুক্ত এক নাবালক-সহ ১৫ জনের নামে চার্জশিট গঠন করে পুলিশ। বিহারের এই ঘটনায় অনেকেই ৮ বছর আগের সেই স্মৃতিতে ফিরেছেন।