রাজ্য জুড়ে বাড়তে থাকা শিশু মৃ*ত্যুর ঘটনায় আগের থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে স্বাস্থ্য ভবন (Swasthya Bhawan)। আবহাওয়ার পরিবর্তনের পাশাপাশি নিউ*মোনিয়া (Pneumonia) আর অ্যা*ডিনো ভাই*রাসের (Adeno Virus) জোড়া ফলায় উ*দ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের চিকিৎসকেরা। সেই মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য ভবন (Swasthya Bhawan)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রত্যেকটা মুহূর্তে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে একের পর এক গাইডলাইন প্রকাশ করা নির্দেশ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে শিশু মৃ*ত্যুর মতো সংবেদনশীল ঘটনাতেও রাজনীতি করার অভিযোগ এবার পদ্ম শিবিরের (BJP) বিরুদ্ধে।
জ্বর-শ্বাসকষ্টে একের পর এক শিশুর মৃ*ত্যু, দিশেহারা পরিবার। চোখে জল আর কোলে এক রত্তি শিশুকে নিয়ে বুক ফাটা হাহাকার। শহরের বি সি রায় শিশু হাসপাতাল (BC Roy Hospital) কিংবা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে পা রাখলেই কেমন যেন টেনশন বাড়ছে। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকায় দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। জরুরীকালীন সমস্ত ছুটি বাতিল করেছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। একের পর এক সরকারি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা খোলা থাকছে ফিভার ক্লিনিক (Fever Clinic)। এর মাঝেই এবার ঘোলা জলে মাছ ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতি করতে পথে নামল বিজেপি (BJP)। শুক্রবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানের নাম করে সাধারণ মানুষ এবং পুলিশকে অকারণ হয়রান করার অভিযোগ বিজেপির ( BJP Rally ) বিরুদ্ধে । এদিন দুপুরে সল্টলেকের করুণাময়ী মোড়ে বিজেপি কর্মী ( BJP ) সমর্থকদের জমায়েত হয়। কিন্তু পরিস্থিতি যাতে কোনও ভাবেই হাতের বাইরে না যায় সেই কারণে আগে থেকেই তৈরি ছিল পুলিশ।হাজির ছিলেন বিজেপি মহিলা মোর্চার কর্মীরাও। স্বাস্থ্য ভবনে কোন রকমের বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয় সেই কারণে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিল পুলিশ। কিন্তু বিজেপি কর্মী সমর্থকরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঝামেলা পাকানোর ইচ্ছেতে পুলিশের সঙ্গে অকারণে বচসা বাধায়। সল্টলেক করুণাময়ী মোড়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়। এরপর বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থককে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা যায়।
শুক্রবারও আরও তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রত্যেকে জ্বর-শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তাই এই শিশু মৃত্যুর জন্য অ্যাডিনো ভাইরাসই দায়ি কিনা তা এখনই স্পষ্ট নয়। চিকিৎসকরা বলছেন কোমর্ডিবিটি ও রেফার জনিত সমস্যায় শিশু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। অন্যদিকে একটি সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে বাংলার বাইরে দাপট দেখাতে শুরু করেছে অ্যাডিনো। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তামিলনাড়ুতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ শতাংশ, এরপরই রয়েছে কেরল। সেখানে প্রায় ১৩ শতাংশ শিশু অ্যাডিনোতে আক্রান্ত। দিল্লিতে ১১ শতাংশ ও মহারাষ্ট্র ৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গেছে বলে জানা যাচ্ছে।