এত দিন রাজ্যের বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের (Left-Congress) কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস ও বামেরা ঘোষিত জোট করে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে গোপন আঁতাঁত করেছিল- সে খবর এখন প্রকাশ্যে। সেভাবে একটি বিধানসভা দখল করতে পেরেছে তারা। এর পরেই রাজ্য জুড়ে বিভিন্নভাবে “অশান্তি তৈরি করার’ ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে আলিমুদ্দিন (Alimuddin)! অন্তত সূত্র তাই বলছে নয়া স্ট্র্যাটেজিতে ‘ঝটিকা বাহিনী’ তৈরি করতে চাইছে সিপিআইএম।
কী এই ‘ঝটিকা বাহিনী’?
কোনও কর্মসূচিতে প্রশাসনের তরফে অনুমতি পাওয়া না গেলেও বিকল্প রাস্তা তৈরি রাখতে চায় সিপিআইএম। অর্থাৎ পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতির তোয়াক্কা না করেই বিক্ষোভ, আন্দোলন করে রাজ্যজুড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা ব্যাহত করার পরিকল্পনা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবেই আন্দোলনে ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে আলিমুদ্দিন।
রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের অথবা শাসকদলের বিরুদ্ধে যে কোনও অজুহাতে কর্মসূচি। এমনকি রেজিমেন্ট পার্টি হওয়া সত্ত্বেও আলোচনা করে কোন কর্মসূচির পথে হাটতে চাইছে না সিপিএম। সূত্রের খবর, ইস্যু তুলে জঙ্গি আন্দোলনের পথে হাঁটার বার্তা দিয়েছেন নেতৃত্ব।
বিরোধীদের বিক্ষোভ-আন্দোলনে সেভাবে বাধা দেয় না রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুমতি দেওয়া হয়। তবে আইন ভেঙে কিছু করার চেষ্টা হলে সে বিষয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে অনুমতি দেওয়া হয় না। এবার সরকার বা শাসকদলের বিরুদ্ধে যে কোনও ইস্যুতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে চাইছে সিপিএম। ছোট ছোট দলেই নামতে চায় আলিমুদ্দিন। এর পাশাপাশি, বড় জমায়েতের থেকে স্ট্রিট কর্নার, এলাকা ভিত্তিক স্কোয়াড, বাড়ি বাড়ি প্রচারেও জোর দেওয়া হয়েছে।