সাগরদিঘি উপনির্বাচনে(Sagardighi bypoll election) কংগ্রেস- সিপিএম- বিজেপির গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে চলে এসেছে ইতিমধ্যেই। উপনির্বাচনে তৃণমূলের(TMC) হারের পর এবার ওই কেন্দ্রে হাড়ের কারণ খুঁজতে দলীয় স্তরে তদন্তের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, এদিন নবান্নে ক্যাবিনেট বৈঠকের পর রাজ্যের মন্ত্রী ও দলের নেতৃত্বের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করেন মমতা। সেখানেই রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় দলীয় নেতৃত্বকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রের খবর ওই বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বদের তিনি প্রশ্ন করেন, গত ১২ বছরে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের জন্য প্রচুর কাজ করা হয়েছে তারপরও কেন সাগরদিঘিতে হারতে হলো কংগ্রেসকে? যদি কোথাও ক্ষোভ থাকে তবে তার কারণ কী? কোথায় কোথায় মানুষ ক্ষুব্ধ তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিম। আর এই দলীয় তদন্তের জন্য বেছে নেওয়া হয় তৃণমূল নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, জাকির হোসেন, সাবিনা ইয়াসমিন-সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতাকে। সাগরদিঘিতে হাড়ের কারণ পর্যালোচনা করে দলকে রিপোর্ট দেবেন তারা।
প্রসঙ্গত, এবার সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছে ৮৭ হাজার ৬১১টি ভোট। তৃণমূল পেয়েছে ৬৪ হাজার ৬৩১। আর বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২৫ হাজার ৭৯৩ ভোট। বাম-কংগ্রেস জোটের কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। সাগরদিঘী উপনির্বাচনে এই ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর এবার গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিলেন। যদিও শুরু থেকেই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে সাগরদিঘিতে অনৈতিকভাবে বিজেপি ও কংগ্রেস আঁতাঁত করেছে। যার ফলে বিজেপির ভোটের একটা বড় অংশ কংগ্রেসে গিয়েছে। ফলস্বরূপ বিজেপি নেমে এসেছে তৃতীয় স্থানে।