আইনজীবী তথা তরুণ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে কাকভোরে পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশের একটি টিম। সঙ্গে ছিল স্থানীয় থানার পুলিশও। কংগ্রেস নেতার ব্যারাকপুরের বাড়িতে যায় বড়তলা থানার পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেস নেতাকে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কুৎসা,কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে কৌস্তভকে। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় কৌস্তভ বাগচী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “হয়রানি করা হচ্ছে, আটক করা হয়েছে”। আবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি লিখছেন, “অবশেষে গ্রেফতার হলাম”।
আরও পড়ুন:আইনজীবী কৌস্তভের বাড়িতে পুলিশ, “গ্রেফতার হলাম” পোস্ট কংগ্রেস নেতার
পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে কৌস্তভ বাগচী তাঁদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁকে গ্রেফতার করতে বড়তলা থানা থেকে যায় আরও একটি টিম। অবশেষে একাধিক মামলা দিয়ে কৌস্তভকে তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসে পুলিশ। আজই তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে ১২০(বি) – অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ১৫৩ – অশান্তি ছড়ানোর উদ্দ্যশে প্রভোকেশন দেওয়া ), ৩৫৪ এ- শ্লীলতাহানি, ৫০৩- ক্রিমিনাল ডিফেমেশন, ৫০৪- শান্তি বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্য ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রভোকেশন দেওয়া, ৫০৫- গুজব ছড়ানো, ৫০৬ – হুমকি, ৫০৯- কটুক্তি ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটা ৫০৫ ধারাটি শুধুম
জামিন অযোগ্য।
এদিকে, কৌস্তভের গ্রেফতারির পর ফের রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বাম-কংগ্রেসের অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে কৌস্তভ বাগচীকে।