বাংলার মতো ত্রিপুরাতেও শোচনীয় পরাজয় বাম-কংগ্রেস জোটের, প্রশ্নের মুখে ভবিষ্যৎ

0
3

২০১৬, ২০২১ পরপর দুটি বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) বাম-কংগ্রেস (CPIM Congress) বিরোধী জোট হিসেবে বাংলার মাটিতে লড়াই করেছিল। ফলস্বরূপ ২০১৬-তে প্রধান বিরোধী দলের তকমা হারিয়েছিল বাম তথা সিপিএম। আর ২০২১ সালে বাম-কংগ্রেস “শূন্য” হয়ে গিয়েছিল। পাশের রাজ্য থেকে শিক্ষা নেয়নি দুটি সর্বভারতীয় দলই। এবার ত্রিপুরায় (Tripura) সেই একই ফর্মুলায় ফাটকা খেলতে গিয়ে শোচনীয় ভাবে পরাজয় হল বাম-কংগ্রেস জোটের। ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট, এই জোট বাংলার মতো ত্রিপুরাবাসীর কাছেও গ্রহণ যোগ্যতা পায়নি। কারণ, গত পাঁচ বছর গেরুয়া অপশাসনের পর এবার পরিবর্তনের হাওয়া উঠলেও এই অপ্রাসঙ্গিক জোট ফের ক্ষমতায় বসলো বিজেপিকে (BJP)। আরও একটি ছবি স্পষ্ট, বাংলার মতো অচিরেই ত্রিপুরার মাটি থেকেও মুছে যেতে চলেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। বরং নাটকীয় উত্থান ঘটল নতুন রাজনৈতিক দল ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মার তিপ্রা মথার (Tipra Motha)।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরায় ভোট গ্রহণ হয়। প্রায় ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল উত্তর-পূর্বের বাঙালি অধ্যুষিত এই ছোট্ট রাজ্যটিতে। আজ গণনার দিন সকাল থেকেই ছিল শাসকের পালে হাওয়া। পোস্টাল ব্যালট স্পষ্ট জানান দিয়েছে, সরকারি কর্মচারিদেরও নিজেদের দিকে টানতে ব্যর্থ সিপিএম-কংগ্রেস।

গণনা শেষে বাম-কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১৪টি আসন। যার মধ্যে বামেরা পেয়েছে ১১টি এবং কংগ্রেসের হাতে গিয়েছে ৩টি আসন। প্রথমবার লড়াই করে ১৩টি আসনে জয় পেয়েছে তিপ্রা মথা। একদম কানায় কানায় ৩২টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। যদিও ২০১৮ সালের তুলনায় তাদের ফলাফল অনেক খারাপ।

সবমিলিয়ে আগামিদিনে ত্রিপুরায় শাসক বিজেপিকে টক্কর দিতে নতুন কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয় কিনা সেটাই দেখার।