শনিবার প্লে-অফের ম‍্যাচে মোহনবাগানের সামনে ওড়িশা এফসি, জয়ই লক্ষ‍্য বাগানের

0
1

শনিবার আইএসএল-এর প্লে-অফের ম‍্যাচে নামছে এটিকে মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। ওড়িশা ম‍্যাচই ফাইনাল ম‍্যাচ, শনিবার ম‍্যাচের আগে এমনটাই বললেন বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো।

ডার্বিতে টানা আটটিতে আটটি জয়। তবে ডার্বি জয় এখন অতীত। বাগানের লক্ষ‍্য ফাইনাল ম‍্যাচ খেলা, তাই ডার্বির জয় ভুলে এখন ওড়িশা ম‍্যাচে ফোকাসড বাগান ব্রিগেড। লিগ পর্বে ওড়িশার বিরুদ্ধে দুটি ম‍্যাচের মধ‍্যে একটিতেও জিততে পারেনি ওড়িশা এফসি। একটি ম‍্যাচে ড্র হয়েছিল আরেকটিতে জয় পেয়েছিল বাগান ব্রিগেড। যদিও ম‍্যাচের আগে এই পরিসংখ্যানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জুয়ান ফেরান্দোর দল। এদিন এমনটাই জানালেন স্লাভকো ডোমানোভিচ , হুগো ব‍ৌমোস, প্রীতম কোটালরা।

এদিন ওড়িশা ম‍্যাচ নিয়ে ডিফেন্ডার স্লাভকো ডোমানভিচ বলেন,”ওড়িশা শক্তিশালী দল। আমাদের কাছে ডার্বির থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ। ওড়িশা পাল্টা আক্রমণে উঠে আসে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পেয়েছি আমরা। মাঠে আমাদের সমর্থকরা থাকবেন। এই ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে, না হলে আনন্দটাই ফিকে হয়ে যাবে।”

এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন,” আমাদের পুরো দল এখন এই ম্যাচ জেতার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ডার্বির চেয়েও ওড়িশা ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। আমার নিজের মনে হচ্ছে, ওড়িশা ম্যাচ না জিতলে ডার্বি জেতার আনন্দটা ফিকে হয়ে যাবে। ফলে এটা ফাইনাল ম্যাচ ধরেই এগোতে হবে।”

বাঙালির কাছে ডার্বির আবেগ কেমন তা বোঝেন প্রীতম কোটাল। মোহনবাগান অধিনায়ক ও ডার্বির থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ওড়িশা ম্যাচকে। ওড়িশা ম‍্যাচ নিয়ে প্রীতম বলেন, “এই ম্যাচটা হারলে সব শেষ। ডার্বির থেকেও ১০ শতাংশ বেশি দিতে হবে আমাদের। ডার্বি এখন অতীত। আমরা লিগ জিততে পারিনি। কিন্তু শিল্ড জেতার সুযোগ রয়েছে আমাদের সামনে। সেটা কাজে লাগাতে হবে। ডার্বি খেলতে নেমেছিলাম জেতার মানসিকতা নিয়ে। ওড়িশা ম্যাচেও সেটা প্রয়োজন। নক আউটে সামান্য ভুলেই অঘটন ঘটে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকব। আমাদের এখন শুধুই চিন্তা ওড়িশাকে নিয়ে। আর কোনও কিছু নিয়েই ভাবছি না আমরা।”

মোহনবাগানের মাঝমাঠের শক্তি হুগো বৌমোস। ওড়িশা ম‍্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, “ডার্বিতে আমরা মরিয়া মনোভাব নিয়ে খেলেছিলাম। শনিবার আরও বেশি একাগ্রতা নিয়ে খেলতে হবে। ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে ওড়িশা বেশি শক্তিশালী। ওরাও ফাইনালে ওঠার চেষ্টা করবে। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হবে। আমরা চাই ৯০ মিনিটে ম্যাচ শেষ করতে। অতিরিক্ত সময় বা টাইব্রেকারে ম্যাচ নিয়ে যেতে চাই না।”

নিজের খেলা নিয়ে হুগো বলেন, “গোল না পেলেও নিজের খেলায় আমি খুশি। কারণ কোচ আমাকে দিয়ে যেটা করাতে চাইছেন সেটা হচ্ছে। মানে, আমাকে প্রতিপক্ষের দুই বা তিনজন মার্কিং করতে যাচ্ছে, ফলে অন্যরা অনেক জায়গা পেয়ে যাচ্ছে। গোলের মুখ খুলতে পারছে। ডার্বিতে যেটা হয়েছে। দেখা যাক এবার কোচ কি দায়িত্ব দেন। তবে জেতার ব্যাপারে আমি একশোভাগ আশাবাদী।”

আরও পড়ুন:নিউজিল্যান্ডে হবে বুমরাহর অস্ত্রোপচার, মাঠে ফিরতে সময় লাগবে ৫ থেকে ৬ মাস