সুপ্রিম কোর্টেও জামিন অধরা। দিল্লি সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটির পাশাপাশি পদত্যাগ করলেন আম আদমি পার্টির আরও এক জেলবন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনও।
দিল্লি আবগারি মামলায় CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন মণীশ সিসোদিয়া। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতেও ধাক্কা খান তিনি মণীশ সিসোদিয়া। CBI-এর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলা শুনতে রাজি হল না প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। এ ব্যাপারে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা শুনতে রাজি না হওয়ায়, এখন সিসোদিয়ার ভাগ্য ঝুলে রইল দিল্লি হাইকোর্টে।

এদিন মামলার শুনানির শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত কক্ষ। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারকে বেআইনি বলে দাবি করেন সিসোদিয়ার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। সিবিআই চার্জশিটে সিসোদিয়ার নাম ছিল না বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া আবগারি মামলার তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সিবিআই করেছে, তা ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন সিসোদিয়ার আইনজীবী। যদিও সিসোদিয়ার আইনজীবীর দাবির বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পর প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘দিল্লি হাইকোর্টে যান। দরজা খোলা আছে।’ এই মামলা এখনই সুপ্রিম কোর্ট শুনতে প্রস্তুত নয় বলেও পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন- রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝেই বাজেট অধিবেশনের অনুমতি পুরোহিতের
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ আপ নেতৃত্বর দাবি, এই গ্রেফতারি অনৈতিক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে তাঁদের ক্যাবিনেটের উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে।


 
 
 
 

































































































































