মানিক ভট্টাচার্যের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মানিকের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী, পুত্রর জামিনের আবেদনও সোমবার খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার তিনি দেশে, বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি আছে, তদন্তকারীদের তা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারী শাহিলা পারভিন আদালতে অভিযোগ করেন, জরিমানার টাকা মানিক এখনও দেননি। এই অভিযোগের পরেই মানিকের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।এখন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি অথবা সিবিআই মানিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।
অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবেন তাঁরা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের গ্রেফতারির পর ইডি যে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট দিয়েছিল, সেখানে তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের নাম ছিল। সোমবার ইডির বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন শতরূপা ও শৌভিক। আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান দু’জনেই। সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক
নিয়োগ ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে মানিক ভট্টাচার্য আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। তার পর তাঁর স্ত্রী, পুত্রকেও জেলে পাঠানো হল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতশ কাচের নীচে রয়েছেন মানিকের কন্যা স্বাতী ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামীও। এমনকী, স্বাতীর শ্বশুরের সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মানিকের স্ত্রী, পুত্রের তরফে আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, সমনের ভিত্তিতে তাঁর মক্কেলরা নিজে থেকেই হাজিরা দিয়েছেন। গ্রেফতার করে তাঁদের আনতে হয়নি। ইডির তদন্তেও তাঁরা সহযোগিতা করছেন। জামিনের জন্য যে কোনও শর্ত তাঁরা মানতে রাজি বলেও আদালতে জানান আইনজীবী। কিন্তু বিচারপতি কোনও কথাই শুনতে চাননি।
ইডি আদালতে জানায়, মানিকের কাজ সংক্রান্ত তথ্য জানতেন তাঁর স্ত্রী। দুর্নীতিতে তাঁরও ভূমিকা থাকতে পারে। তা ছাড়া, মৃত এক ব্যক্তির সঙ্গে মানিকের স্ত্রীর যে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে, তাতে দুর্নীতির টাকা থাকতে পারে বলে মনে করছে ইডি।