এবার নিশীথ প্রামানিককাণ্ডে মুখ থুলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস৷দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দেগে কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি৷ পাল্টা রাজ্যপালকে নিশানা করলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কুণাল সরাসরি রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন৷
রাজভবনের তরফে বিবৃতিতে কার্যত রাজ্যকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল হিসাবে আমার দায়িত্ব এটা নিশ্চিত করা যে বাংলা যেন একটা ‘দুর্বল রাজ্য’ হয়ে না যায়। কড়া হাতে আইনের শাসন বজায় রাখতেই হবে। গণতন্ত্রকে নৈরাজ্যের স্তরে নামতে দেওয়া যাবে না। আইনের শাসন বজায় রাখতে এবং দুষ্কৃতী দমনে রাজ্য সরকারকে দ্রুত এবং নজির তৈরির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে৷ একই সঙ্গে রাজ্যপাল মনে করিয়ে দিয়েছেন, যাঁদের হাতে দায়িত্ব রয়েছে তাঁদের সংবিধানের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। বাংলা চায়, প্রত্যেক পুলিশ বা প্রশাসনিক কর্তা, তাঁরা যে দায়িত্বেই থাকুন তাঁরা কোনও রকম ভয় না পেয়ে এবং পক্ষপাতিত্ব না করে যেন তাঁদের দায়িত্ব পালন করুন।
এই বিবৃতির পাল্টা কুণালের কটাক্ষ, ‘চাকরি বাঁচানোর বিবৃতি’! তৃণমূল মুখপাত্রের দাবি, রাজ্যপাল যদি রাষ্ট্রপতির দূত হিসাবে আচরণ করেন সৌজন্য দেখানো হবে। যে দিন বিজেপির দূত হয়ে যাবেন, সেই দিন থেকে তেমনই জবাব পাবেন।’’ রাজ্যপালের গোপন তদন্তের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল৷এদিন কুণাল বলেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের উত্তরসূরী।কিন্তু যতক্ষণ তিনি নিরপেক্ষ থেকেছেন, আমরাও বলেছি এখনও তিনি নিরপেক্ষ আচরণ করছেন।
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও এক হাত নেন কুণাল। বলেন,নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এত লোক গ্রেফতার হচ্ছে, শুভেন্দু গ্রেফতার হবে না কেন।শুভেন্দু নিজেই বলেছেন, কে চাকরি দিয়েছে জানতে চান। কীভাবে তিনি চাকরি দিলেন? তিনি তো শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না।তাকেও এই মামলায় জোড়া হোক।গ্রেফতার করে সিবিআই প্রশ্ন করুক, কীভাবে চাকরি দিলেন শুভেন্দু ? কে তার সোর্স ? নারদা মামলায় সিবিআইয়ের এফআইআর-এ নাম আছে। কেন এখনও গ্রেফতার নয় ? বিজেপির ছাতার তলায় আছেন বলে সিবিআই দেখতে পাচ্ছে না ?