সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য সুখবর! ৩ শর্তে পদোন্নতির প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর

0
1

পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার! সোমবার, নবান্নের (Nabanna) বৈঠকে ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সিভিক ভলেন্টিয়াররা ভাল কাজ করলে তাঁদের কনস্টেবল হিসাবে স্থায়ী চাকরি দেওয়া যায় কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্র দফতরকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর অধীনেই স্বরাষ্ট্র দফতর। তারাই এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখবে।

বাংলায় এখন কয়েক হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দেন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে যাঁদের কাজ ভালো, তাঁদের রিওয়ার্ড পাওনা। তাঁদের চিহ্নিত করতে জেলার পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কনস্টেবলদের পদোন্নতি হয়ে অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর পদে যাওয়ার ফলে বেশ কিছু পদ শূন্য রয়েছে। সেই পদে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নেওয়ার প্রস্তাব দে মমতা। নিয়োগ ব্যবস্থা ও চাকরির শর্ত কী হবে তা বিবেচনা করে দেখবে স্বরাষ্ট্র দফতর।
এদিনের বৈঠকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পদোন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মূলত তিনটি শর্ত দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
• প্রথমত: সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাজের ক্ষেত্রে যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। প্রতিটি কাজ দায়িত্বের সঙ্গে পালন করছেন কি না তার উপর তাঁদের মূল্যায়ন হবে।
• দ্বিতীয়ত: সিভিক ভলেন্টিয়াররা এই সুযোগ তখনই পাবেন, যখন সেই থানায় কনস্টেবল পদ খালি হবে।

• তৃতীয়ত: সেই সিভিক ভলেন্টিয়াররা সুযোগ পাবেন যাঁদের নাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করবেন। এই দায়িত্ব থাকবে জেলার পুলিশ সুপারের উপরে। যে থানা এলাকায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার কাজ করছেন সেখানকার ওসি এবং এসডিপিও-র রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত জানাবেন পুলিশ সুপার।
কলকাতায় সিভিক ভলেন্টিয়ারের সংখ্যা যথেষ্ট বেড়েছে। জেলাতে ব্যাপক হারে সিভিক ভলেন্টিয়ার রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অনেক সময়ই বড় ভূমিকা নিতে দেখা যায় তাঁদের। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নাগরিক পরিষেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তাঁরা। এবার এই প্রস্তাবে সিলমোহর পড়লে কাজের গতি ও উৎসাহ বাড়বে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।