তিন বছর পেরিয়েও দিল্লি দা*ঙ্গার ১০ শতাংশ মামলারও রায় হয়নি

0
2

দিল্লি দাঙ্গার তিন বছর পেরিয়ে গেল। দিল্লিতে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল ঠিক তিন বছর আগে ২০২০ এর ২৩ ফেব্রুয়ারি। এই দাঙ্গায় ৫৩ জন নিহত এবং ৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল।তথ্য বলছে দিল্লি পুলিশের উত্তর-পূর্ব জেলার কর্করডুমা আদালতে দাঙ্গা ও অগ্নিসংযোগের ৬৯৫ টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।সেই মামলার অধিকাংশ তদন্তই এখনও শেষ হয়নি।

দিল্লিতে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৭ টি মামলার রায় এসেছে। এর মধ্যে ৩৬ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।যারা এই মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন এমন ১৫ টিতে আদালত দেখতে পায় যে অভিযুক্তদের পুলিশ অনেক পরে শনাক্ত করেছে।জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারির মেমোতে কোনও স্বাক্ষর ছিল না। এমনকী অভিযুক্তদের জড়িত থাকার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর মতো কোনও লিখিত প্রতিবেদন থানার রেকর্ডে ছিল না।

জানা গিয়েছে, ১০ টি মামলায়, সাক্ষীরা অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে যে তারা দাঙ্গার আগে তাদের চিনত। কারণ, তারা এলাকায় বিট অফিসার ছিল। তবে সেই সাক্ষ্য বিচারের বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।খালাস পাওয়া তিনটি মামলায়, আদালত উল্লেখ করেছে যে পুলিশ সাক্ষীরা জেরা করার সময় বলেছিলেন যে তারা স্মৃতিশক্তি হ্রাসে ভুগছিলেন এবং এর জন্য ওষুধও খাচ্ছিলেন। অন্যদিকে,  এই ধরনের আটটি মামলার মধ্যে  চারটি মামলায় গোপন সংবাদদাতার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিনটি আদেশে আদালত জানায়, পুলিশ পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে।একজন ঊর্ধ্বতন কর্তা বলেছেন, “প্রত্যক্ষদর্শীরা দাঙ্গাকারীদের শনাক্ত করেছিল এবং তারপর তাদের সাক্ষ্য দিতে বলা হলে তারা সবাই মানসিকভাবে বদলে যায় ।

জানা গিয়েছে, দিল্লি দাঙ্গায় খালাস পাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ২০ জন হিন্দু এবং ১৬ জন মুসলিম। দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনের সবাই হিন্দু। পাঁচটি মামলার, আসামীরা দু বছরেরও বেশি সময় জেলবন্দি ছিলেন এবং অনেকে আবার জেলে ৭৬ দিন কাটিয়েছেন। এই ৬৯৫ টি মামলা ছাড়াও, ৬৩ টি মামলা ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং স্পেশাল সেল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, যেগুলি খুন এবং ইউএপিএ এর ধারাগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে ৩০টিরও বেশি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে এবং ২৯টি মামলা এখনও বিচারাধীন।