কংগ্রেসের ক্ষমতা নেই, মেঘালয়ে বিজেপিকে হারাতে পারে একমাত্র তৃণমূলই, রাহুলকে জবাব মহুয়ার

0
1

উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনীকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। মেঘালয়ের বুকে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস ও বাংলার শাসক দল তৃণমূল কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। ভোটের প্রচারেও তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

মেঘালয় দেশের একমাত্র রাজ্য, যেখানে ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে কংগ্রেস এক সময়ে সরাসরি বিজেপি-এনপিপি জোটকে সমর্থন করেছিল। নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দেওয়া এহেন কংগ্রেসের গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের পাল্টা দিতে গিয়ে অভার রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, বিজেপিকে সাহায্য করতেই নাকি মেঘালয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। পাল্টা আবার রাহুলকে খোঁচা মেরে অভিষেক কড়া টুইটে কংগ্রেসের ‘ভিমরতি” হয়েছে বলেছিলেন। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও রাহুল গান্ধীকে একহাত নিয়ে “অপদার্থ” কটাক্ষ ছুঁড়ে ছিলেন।

সেই আবহে দাঁড়িয়ে এবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে কড়া ভাষায় জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বললেন, “শুধু মেঘালয় নয়, গোটা দেশজুড়ে বিজেপির বিকল্প একমাত্র তৃণমূলই। একমাত্র তৃণমূলই পারে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে।”

কংগ্রেসে যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না সেটা বুঝিয়ে দিয়ে মহুয়া মৈত্র বলেন, ”যদি কংগ্রেস লড়াইটা ঠিকমতো করতে পারত, তাহলে মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে লড়তে আসতে হতো না। যা কংগ্রেস পারেনি, তার জন্য আমরা, তৃণমূল, একধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আমাদের কী করা উচিৎ ছিল তবে? ঘরে বসে দেখা যে আরেকটি রাজ্যেও বিজেপি জিতে সরকার তৈরি করছে? মেঘালয়বাসীকে আমরা বিকল্প সরকার দিতে চাই। আর বিজেপির বিকল্প একমাত্র তৃণমূলই।”

মহুয়ার আরও সংযোজন, মেঘালয়ের মহিলা ভোটারদের বিরাট সমর্থন পাবে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে মেঘালয়ে তৃণমূলের ক্ষমতা বদলে দেওয়ার শক্তি আছে। শুধু মহিলারাই যদি ভোটাধিকার ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে তৃণমূল প্রার্থীরা জিতে যাবেন।