২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার প্রথমদিন মাধ্যমিকের প্রথম ভাষার পরীক্ষা মিটেছে নির্বিঘ্নেই। খুশি পরীক্ষার্থীরাও। আজ, সকালে আচমকাই ইংরাজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তোলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একটি টুইট করে সুকান্তর দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে ইংরেজি প্রশ্নপত্র। শুধু তাই নয়, বিজেপি রাজ্য সভাপতির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, মালদহে তৃণমূল শিক্ষা সেলের এক নেতা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে সুকান্তর অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল।
সুকান্তর দাবি, এদিন বেলা ১২টা ৪৮ মিনিট নাগাদ তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্রটি পেয়েছেন। মালদহের তৃণমূল শিক্ষা সেলের এক নেতা এই প্রশ্ন ফাঁস করেছেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রশ্নপত্রের কিছু অংশ পোস্ট করে টুইটে লেখেন, “আজ মাধ্যমিকের ইংরাজি পরীক্ষা। সকল পরিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই। যদিও আজ সকাল থেকেই এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরাজি প্রশ্নপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু সময়ের মধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন- বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে শিক্ষা ইস্যুতে কোন বার্তা রাজ্যপালের
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সস্তার রাজনীতি করছেন বলে পাল্টা দাবি করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সুকান্তকে তোপ দেগে কুণাল বলেন, “দায়িত্বশীল কোনও নেতার সস্তার প্রচারের জন্য ছাত্রছাত্রীদের মানসিকতা নিয়ে ছেলেখেলার কোনও মানে নেই। ছাত্রছাত্রীরা ঢুকে গেলে আর ফাঁস হওয়ার কথা আসে কী করে? কোথাও কিছু ফাঁস হয়নি। ঢোকার পর তো প্রশ্ন খুলতে হবে। অন্য মানসিকতার কোনও ব্যক্তি যদি প্রশ্ন খুলে বের করে দিয়ে বলে দেখুন সেই প্রশ্ন, সেটা তো কুৎসার রাজনীতি। সুকান্তবাবু সস্তার রাজনীতি করবেন না। আপনি শিক্ষক সমাজে আছেন। বাম আমলে একটা বড় ঘটনা ঘটেছিল। কঠিন প্রশ্ন। সেটা মাথায় রাখুন। সস্তার রাজনীতি করবেন না।”
অন্যদিকে, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে ইংরেজি “প্রশ্নপত্র ফাঁস” নিয়ে তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এ বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ বলেন, “ইংরেজি প্রশ্নপত্রের ২, ৩ এবং ১০ নম্বর পাতার ছবি তোলা হয়েছে। বেলা দেড়টা থেকে পৌনে ২টোর মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। কোনও এক পরীক্ষার্থী মোবাইলে ছবিটি তুলেছেন। আদালতের নির্দেশে আমরা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করতে পারি না। এই ঘটনায় পরীক্ষার উপর প্রভাব পড়েনি। কারণ, দেড় ঘণ্টা পরে ঘটনাটি ঘটেছে।”
কিন্তু কী ভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে ছবি তোলা হল? পর্ষদ সভাপতি বলেন, “পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা নিষেধ। কিন্তু আমরা তো ‘মেটাল ডিটেক্টর’ ব্যবহার করি না। শিক্ষক-শিক্ষিকারাই নজর রাখেন।”