সংবাদমাধ্যম কোনও খবর করতে পারবে না আদানি ও হিন্ডেনবাগ ইস্যুতে(Adani and Hindenbarg issue)। এমনই আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে(Supreme Court) দায়ের হয়েছিল মামলা তবে সে আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোনও নির্দেশ আদালত দিতে পারে না।
সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে এলএম শর্মা নামে এক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। যেখানে তার আবেদন ছিল আদানি ও হিন্ডেনবাগ ইস্যুতে মামলা বর্তমানে শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। শীঘ্রই এই মামলার রায়ও প্রকাশ্যে আসবে। ফলে যতদিন না এই মামলার রায় বেরোচ্ছে ততদিন কোনও সংবাদমাধ্যম যেন আদানি সংক্রান্ত খবর না করে। কারণ এই বিষয়টি নিয়ে অযথা উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুক্রবার এই মামলার রায়ে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “মিডিয়ার কাজে বাধা দেওয়ার জন্য অন্য কোনও অভিযোগ দায়ের করুন। এইভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যায় না। সুপ্রিম কোর্ট কখনই এমন কাজ করতে পারে না।” একইসঙ্গে এই মামলা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
অন্যদিকে লাগাতার পতন থামছে না আদানি সংস্থার শেয়ারে। শুক্রবারও এই সংস্থার কার্যত সব শেয়ারেই ব্যাপক পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। গত ২৫ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট। তার আগে ২৪ জানুয়ারি আদানিদের তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির মোট শেয়ার মূল্য বা মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ছিল ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ঠিক এক মাস পরে ওই ১০ কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন দাঁড়িয়েছে ৭.২ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র এক মাসে আদানিদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন (Market Capitalization) কমেছে প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা। লগ্নিকারীদের আস্থা ফিরে পেতে আদানিরা নানা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও পতন ঠেকানো যাচ্ছে না।