নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়, কেন রহস্যময়ী হৈমন্তী !

0
1

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের মুখে বৃহস্পতিবারই শোনা গিয়েছিল ‘রহস্যময়ী নারী’ কথা।বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেরনোর সময় এই ‘রহস্যময়ী নারী’র কথা জানিয়েছিল যুবনেতা।তার বক্তব্য, নিয়োগ দুর্নীতির সবটা জানতেন ওই রহস্যময়ী নারী। তিনি নিয়েছেন টাকাও! এমনকী সংবাদমাধ্যমের সামনে কুন্তল জানিয়েছেন, রহস্যময়ী নারীর নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়।

এরপর থেকেই খোঁজ পড়ে হৈমন্তীর। প্রশ্ন ওঠে, কে এই হৈমন্তী ? জানা গিয়েছে তিনি গোপাল দলপতির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের মা জানান, মেয়ে বহুবছর আগে গোপালের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিল। গোপালকে আমাদের পরিবার পছন্দ করে না তাই কোনও যোগাযোগ রাখি না। তবে আমার মেয়ে নির্দোষ, ওকে ফাঁসানো হচ্ছে। অবশ্য হৈমন্তীর মা মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগের কথা অস্বীকার করলেও প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, এই বাড়িতে হৈমন্তী আসতেন। বিলাসবহুল গাড়িতে আসতেন। অনেকবার দেখা গিয়েছে তাকে।

হৈমন্তী সম্পর্কে নানা তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, তাঁর আদি বাড়ি হাওড়ার উত্তর বাকসারা রোডের কাটুরিয়া পাড়ায়।একটা সময় হৈমন্তী বেহালায় থাকতেন। স্থানীয় সূত্রে দাবি, নিজের বাড়িতে মাঝেমধ্যেই আসতে দেখা গিয়েছে হৈমন্তীকে।তিনি এলাকায় মডেল-অভিনেত্রী বলেই পরিচিত। কুন্তলের দাবি, দুর্নীতির সব টাকা নাকি হৈমন্তীর কাছেই। এখন প্রত্যেকের নজরে তাঁর এই বাড়ি।জানা গিয়েছে, বাড়ির পাশের ডাস্টবিন থেকে একটি চিত্রনাট্যও  পাওয়া গিয়েছে, যেখানে হৈমন্তীর চরিত্র সম্পর্কে লেখা। যদিও এখনও পর্যন্ত ইডি বা সিবিআইয়ের কাউকে দেখা যায়নি।

মডেলিং, অভিনেত্রী হিসেবে টলিউডে চেনা মুখ হৈমন্তী।বছর আটেক আগে গোপাল দলপতির সঙ্গে তার আলাপ।এরপর ঘনিষ্ঠতা, প্রেম, বিয়ে।জানা গিয়েছে, হৈমন্তীর সঙ্গে বিয়ের পর তাঁর কথাতেই নিজের নাম বদলে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় হন গোপাল দলপতি।মডেলিং ছাড়াও বেশ কিছু ছবিতে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করেছেন হৈমন্তী। বিয়ের পর নাকি স্বামী-স্ত্রী মিলে সংস্থা খুলেছিলেন। সেই সংস্থার নাম ‘হৈমন্তী অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড’। তারই ডিরেক্টর ছিলেন আরমান-হৈমন্তী। সম্ভবত তার আড়ালেই টাকা নয়ছয় হয়েছে। পুরো বিষয়টি এখন সিবিআই এবং ইডির নজরে।