আমার বাবার নামে জমি (Land) ছিল। তাই জমিটা আমার নামেই হওয়া উচিত ছিল। আর তাই হল। বিএল অ্যান্ড আরও অফিস থেকে সব কাজ করে দেওয়া হয়েছে। তবে না হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। আমার বাবার করা উইল অনুযায়ী, তাঁর অবর্তমানে আমার মা পাবেন এই জমি। আর আমার মায়ের অবর্তমানে তা আমার কাছে আসবে। বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) থেকে আমেরিকার (America) উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে এমনটাই জানালেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)।
জানা গিয়েছে, প্রথমে তিনি পৌঁছবেন মুম্বাইয়ে (Mumbai)। সেখান থেকে শুক্রবার আমেরিকাগামী বিমান ধরবেন। এদিন প্রতীচী থেকে বার হওয়ার সময় নোবেলজয়ী জানান, জমি নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর তিনি দেবেন না। জমি নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে উপাচার্য কে করার কথা বলেন তিনি। এছাড়াও সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অমর্ত্য বলেন, মনে ব্যথার অবকাশ কই? বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে হেনস্থা করছেন, সেটা বোঝার বিষয়েও জ্ঞানহীন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’তে আসেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এবার তিনি প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় থাকলেন শান্তিনিকেতনে। তবে বোলপুরে অমর্ত্য সেনের প্রতীচী বাড়ির জমি নিয়ে বিতর্ক চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। বিশ্বভারতীর দাবি ছিল, ওই বাড়ির মোট জমির ১৩ ডেসিমেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তবে বৃহস্পতিবার বিদেশে যাওয়ার আগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ সাংবাদিকদের সাফ জানিয়েছেন, তাঁর নামেই সম্পূর্ণ জমি রেকর্ড করে দিয়েছে ভূমি দফতর।
তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রয়েছেন। প্রয়োজনে রাজ্য ভূমি সংস্কারের তরফে নিয়ম মেনে বিশ্বভারতীর প্রতিনিধি, অমর্ত্য সেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে জমির মাপ নেওয়া হোক। তা হলেই আসল সত্য প্রকাশ্যে আসবে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে অভিযোগপত্রও পাঠানো হয়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্বয়ং অমর্ত্যের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অমর্ত্য সেনের হাতেই জমির নথি তুলে দিয়েছিলেন তিনি। পরে অমর্ত্যের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিম্যাল জমি দখলের অভিযোগ করেন কর্তৃপক্ষ। জায়গা ফেরত চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয় ‘প্রতীচী’-র ঠিকানায়। তবে বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় অমর্ত্য জানালেন, উত্তরাধিকার সূত্রেই বাড়ির মালিকানা শুধুই তাঁর।










































































































































