প্রবল বিতর্কের মাঝেই আদানির সংস্থাকে বিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত দিল শ্রীলঙ্কা

0
2

হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের(Hindenbarg Report) জেরে অল্পদিনের মধ্যেই সম্পত্তি খুইয়ে বিশ্ব তালিকায় ২৯ নম্বরে ঠাই হয়েছে গৌতম আদানির(Gautam Adani)। নতুন বরাত তো দূরের কথা এই সংস্থার সঙ্গে পুরানো বরাত নিয়ে উদ্বিগ্ন একাধিক রাজ্যের সরকার। এহেন বেহাল অবস্থার মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তির হাওয়া বইল আদানির ঘরে। প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার(Srilanka) দুটি বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের বরাত দেওয়া হল আদানির গ্রিন এনার্জিকে(Green Enargy)।

প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার পরিচালিত ‘শ্রীলঙ্কা বোর্ড অফ ইনভেস্টমেন্ট’ বৃহস্পতিবার জানায়, শ্রীলঙ্কার উত্তরাংশে দুটি বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জন্য ৪৪ কোটি ২০ লক্ষ ডলারের বরাত দেওয়া হচ্ছে আদানি গ্রিন এনার্জিকে। ২০২৫ সালের মধ্যে আদানি গ্রিন এনার্জি জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। অবশ্য শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফে আদানি গোষ্ঠীকে বরাত দেওয়া নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। এর আগে বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের বরাত আদানিকে দেওয়া নিয়ে পূর্বতন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের আমলে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। গত বছর জুনে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের সংশ্লিষ্ট কমিটির সামনে সিলোন ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এম সি ফার্দিনান্দো জানান, ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে বলেন, “মান্নারে যে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করা হবে, তার বরাত আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়া হোক। কারণ, এমনটাই চাইছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

এই ঘটনায় শ্রীলঙ্কা রাজনীতিতে ডামাডোল চরমে ওঠে। কলম্বোর রাস্তায় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শুরু হয় বিক্ষোভ। যার ফলে ইস্তফা দিতে হয় ফার্দিনান্দোকে। ভারতেও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী কূটনীতির প্রথা ভেঙে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে নির্দিষ্ট একটি শিল্পগোষ্ঠীকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার উমেদারি করেছেন কি না, তা নিয়ে তাঁর বিবৃতি দাবি করেছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। অবশ্য শ্রীলঙ্কার আদানি গোষ্ঠীর বরাত পাওয়া নতুন কিছু নয়, এর আগে কলম্বোর একটি ৭০ কোটি ডলারের গভীর সমুদ্রবন্দরের টার্মিনাল গড়ার বরাত পেয়েছিল আদানি গোষ্ঠী।