কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের তৎপরতা, জালে অভিযুক্ত BSF কমান্ডার

0
1

BSF ক্যাম্পে মহিলা কনস্টেবলকে ধর্ষণে দ্রুত পদক্ষেপ পুলিশের। যেখানে শুধুমাত্র অভিযুক্ত কমান্ডারকে সাসপেন্ড করে দায় সেরেছিল বিএসএফ, সেখানে অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃত কমান্ডারের নাম কিতাব সিং নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জ থানার টুঙ্গি বর্ডার আউট পোস্টের দায়িত্বে ছিলেন।

বুধবার রাতে চাপড়ায় বিএসএফের সীমানগর সেক্টর হেড কোয়ার্টার থেকে বিএসএফের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কোম্পানি কমান্ডারকে গ্রেফতার করা হয়। কিতাব সিংয়ের বাড়ি হরিয়ানার ভিওয়ানিতে। অভিযোগ, ১৮ ফেব্রুয়ারি, কৃষ্ণগঞ্জে বিএসএফ-এর ক্যাম্পের ভিতরেই কিতাব সিং (Kitab Singh) মহিলা কনস্টেবলকে ধর্ষণ করেন। চাপে পড়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। উচ্চপর্যায়ের কমিটিও গঠন করে বিএসএফ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ঘটনার পর স্থানীয় থানায় বিএসএফ কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি কেন! নির্য়াতিতাকে শারীরিকভাবে পরীক্ষার পর, SSKM-এর তরফে থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয়। কিছুটা স্থিতিশীল হয়ে বাহিনীর কয়েকজন আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিয়োগ জানান ওই মহিলা কনস্টেবল। আইপিসি 367 (2) (সি) ধারায় মামলা হয়। জিরো FIR করে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ বুধবার রাতে হেডকোয়ার্টারে গিয়ে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বুধবার রাতে পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন নির্যাতিতাও। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বিএসএফ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই কমান্ডারের এই বছর ফেব্রুয়ারিতে অবসর নেওয়ার কথা।

সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরা দিয়ে নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া যাদের কাজ, সেই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শিবিরেই সুরক্ষিত নন মহিলা কর্মীরা। এই ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও নীরব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! অথচ বিএসএফ রয়েছে তার মন্ত্রকের অধীনেই। অথচ অভিযোগ পেয়েই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য পুলিশ।