সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরা দিয়ে নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া যাদের কাজ, সেই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শিবিরেই সুরক্ষিত নন মহিলা কর্মীরা। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লালসার শিকার BSF-র মহিলা কনস্টেবল। এই ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও নীরব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! অথচ বিএসএফ রয়েছে তার মন্ত্রকের অধীনেই।
১৮ ফেব্রুয়ারি, কৃষ্ণগঞ্জে বিএসএফ-এর ক্যাম্পের ভিতরেই এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে মহিলা কনস্টেবলকে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য। চাপে পড়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে বাহিনী। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ঘটনার পর স্থানীয় থানায় বিএসএফ কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি কেন! নির্য়াতিতাকে শারীরিকভাবে পরীক্ষার পর, SSKM-এর তরফে থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয়। কিছুটা স্থিতিশীল হয়ে বাহিনীর কয়েকজন আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিয়োগ জানান ওই মহিলা কনস্টেবল। আইপিসি 367 (2) (সি) ধারায় মামলা হয়। জিরো FIR করে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। BSF এর তরফে জানানো হয়েছে তারা বিষয়টি বিভাগীয় তদন্ত করছে, অভিযুক্ত সেই কোম্পানি কমান্ডারকে সাসপেন্ড করেছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শিবিরে মহিলা কনস্টেবলের ধর্ষণের ঘটনায় কেন নীরব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? তাঁর অধীনে রয়েছে বিএসএফ। কিছুদিন আগে রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও বিএসএফের এরিয়া বাড়িয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অথচ তাদের ক্যাম্পের ভিতরেই মহিলা কর্মী ধর্ষিতা হচ্ছেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। বুধবার মেঘালয়ের সভায় এই প্রসঙ্গ তুলে নেত্রী বলেন, “বাংলায় কথায় কথায় সেন্ট্রাল এজেন্সি পাঠিয়ে দেয়। সীমান্তে কী হচ্ছে? শুনলাম বিএসএফ ক্যাম্পে বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে।” আগেই মমতা পুলিশ সুপারকে এই ঘটনাটির বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে আদালতে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দিও নথিভুক্ত হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নদিয়া জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুন- প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স নির্দিষ্ট করলো শিক্ষা মন্ত্রক, নির্দেশ সব রাজ্যকে