ভাষা দিবসে মোহনবাগানের স্পোর্টস লাইব্রেরির উদ্বোধন, এটিকে নিয়ে আপডেট কুণালের

0
3

ভাষা দিবসে স্পোর্টস লাইব্রেরি  চালু করল মোহনবাগান ক্লাব । খেলাধুলো সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের বই পাওয়া যাবে এই লাইব্রেরিতে। প্রথিতযশা সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস হাত ধরে এই লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন। ইতিমধ্যেই ১৫০-র উপর বই এসেছে‌। অনেক সংস্থাও এগিয়ে এসেছে ।
এদিন উপস্থিত ছিলেন, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ, অসিত চ্যাটার্জী,সৌমিক বসু, ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সহ সচিব সত্যজিত চ্যাটার্জী, সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস দত্ত, দীপ প্রকাশনীর দীপ্তাংশু মন্ডল, ক্রীড়া সাংবাদিক রুপক সাহা, জয়ন্ত চক্রবর্তী, রাতুল ঘোষ , প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বোস প্রমুখ বিশিষ্টরা।

সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস দত্ত বলেন,কুণাল ঘোষের মস্তিষ্ক প্রসূত এই লাইব্রেরি।এই লাইব্রেরিতে স্পোর্টস সম্পর্কিত যে বই আছে তা ভারতবর্ষের কোনও ক্লাব এই প্রথম করল। সাহিত্য- শিক্ষায় কুণাল ঘোষ আমাদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। এই লাইব্রেরি গবেষকদের অনেক সাহায্য করবে।
সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ রীতিমতো আবেগপ্রবণ। নাম না করে ইস্টবেঙ্গলকে ঠুকলেন তিনি। বললেন, অন্যদের লাইব্রেরিতে স্পোর্টস এর বই কম, অন্য বই বেশি। এটিকে মোহনবাগান নিয়ে কুণাল বলেন, এটিকে এগিয়ে না এলে সেই সময় আইএসএল খেলাটা সম্ভব হতো না। আমাদের যন্ত্রণা একটাই। সমর্থকরা চাইছেন এটিকে নাম বদল হোক, অন্য নাম থাকুক। সেই কথা আমরা তাদের বোঝাতে পেরেছি। তারা সময় সুযোগ মতো বিকল্প নাম ঘোষণা করবেন। আমরা সেই সময়ের অপেক্ষায় আছি।

ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, মোহনবাগান ক্লাব আজকে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের দিনে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে যেভাবে সম্মানিত করলেন তা বিরল। ভারতবর্ষে একটা স্পোর্টস লাইব্রেরি চালু হলো। মোহনবাগান ক্লাব পথ দেখালো। যারা স্পোর্টস নিয়ে গবেষণা করছেন তারা যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে সবার আগে মোহনবাগানের নাম উচ্চারণ করবেন। আমি মোহনবাগান ক্লাবকে কুর্নিশ জানাই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় খেলাধুলায় বরাদ্দ বেড়েছে। আর্থিক সাহায্য করছে সরকার। পরিকাঠামোর উন্নয়ন করেছে সরকার। আজ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে তিনি প্রশ্ন তোলেন, বাংলার খেলোয়াড় কই? না ফুটবলে না ক্রিকেটে। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার এই ফল কেন ?
বাংলার প্রকৃত খেলোয়াড়রা কেন সুযোগ পাচ্ছেন না সেই প্রশ্নও তোলেন। আজকে বাংলার ছেলেদের সেভাবে সুযোগ নেই কেন? সবাই বাইরে থেকে প্লেয়ার এনে খেলাবে, এ কোন বাংলা ?

প্রবীণ সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, মোহনবাগান ক্লাবের ঐতিহ্য নত মস্তকে স্মরণ করার। এই লাইব্রেরি যদি খেলোয়াড়দের সমৃদ্ধ করে তাহলে খুব খুশি হব। এটিকে মোহনবাগান নিয়ে নিজের ক্ষোভের কথাও স্বীকার করে নেন বর্ষীয়ান সাহিত্যিক। সব মিলিয়ে মোহনবাগানের এদিনের অনুষ্ঠান ছিল জমজমাট।