মোরবি সেতু বিপর্যয়ের বি*স্ফোরক তথ্য প্রকাশ গুজরাট সরকারের

0
1

গুজরাতের মোরবির সেতু বিপর্যয় নিয়ে আবারও উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য।বিজেপি শাসিত গুজরাতে মোরবি বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বের করলো সিট বা বিশেষ তদন্তকারী সংস্থা। গত বছর মোরবি সেতু ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় ১৪১ জনের। সিটের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ৩০ অক্টোবর বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার আগেই বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল সেতুটি।

আরও পড়ুন:মোরবিকাণ্ডে ওরেভা গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টরের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

গত বছরের ডিসেম্বরে জমা হয়েছিল সেতু বিপর্যয়ের প্রাথমিক রিপোর্ট। এখন সেটা মোরবি পুরসভাকে দেওয়া হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে, সংস্কারে নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার থেকে শুরু করে যে ঠিকাদার সংস্থা সংস্কারের কাজ করেছিল, তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন। সেতুটির লোকধারণের ক্ষমতা কত, তা বিবেচনা না করেই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দলের রিপোর্ট এ-ও বলছে, সেতুর দু’টি তারের মধ্যে একটির ক্ষয়জনিত সমস্যা ছিল। যে কোনও সময়েই সেখান থেকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। তদন্তকারীরা এ-ও বলছেন, সেতু সংস্কারের সময় পুরনো কেবল বা তারগুলি বদল করা হয়নি। অনেক তারেই মরচে পড়ে গিয়েছিল। সেই তারে রং করেই চকচকে রূপ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেতুর ৪৯টি তারের মধ্যে ২২টিতে ক্ষয় দেখা গিয়েছিল। ২৭টি তার দুর্ঘটনার সময় ছিঁড়ে পড়ে।

মোরবি ঝুলন্ত সেতুর তার পরিবর্তন করা হলে এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, সংস্কারের কাজে যে ঠিকাদার সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে, সংস্কারের পর সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আগে বরাত পাওয়া ওরেভা সংস্থা সরকারি আনুমোদন নেয়নি।