১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পে বাঙ্গার প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার(Cental Govt)। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলার ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং(Giriraj singh)। তাঁর দাবি, কেন্দ্রের টাকার অপব্যবহার করেছে বাংলার সরকার। স্বচ্ছতা না থাকলে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পাল্টা তোপ দাগলেন তৃণমূল(TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। জানালেন, উনি যা বলছেন তা অস্পষ্ট ও দ্বিচারিতায় ভরা, মিথ্যাচার করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বাংলার টাকা আটকে রাখা প্রসঙ্গে সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গিরিরাজ সিং বলেন, “কেন্দ্রের টাকার অপব্যবহার করছে বাংলার সরকার। সরকারি প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে। অযোগ্য ব্যক্তিদের বাড়ি দেওয়া হয়েছে, মনরেগায় ব্যাপক লুট হয়েছে। মনে রাখবেন এই প্রকল্প লুটের জন্য নয়, গরিবের জন্য।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “টাকা আমরা দিতে চাই, কিন্তু সেক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। স্বচ্ছতা থাকলেই টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।” বাংলার মানুষদের উদ্দেশ্য করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, “বাংলার মানুষদের উদ্দেশ্যে বলছি, গরিবের টাকা আমরা দিতে চাই। কিন্তু বাংলার লুটের সরকারকে কাজ দেখাতে হবে।”
তবে গিরিরাজের এহেন মন্তব্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার বলে দাবি করে পাল্টা তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “উনি যা বললেন তার কোনওটা স্পষ্ট নয় সবটা অস্পষ্ট ও দ্বিচারিতায় ভরা। মিথ্যাচার করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজে বাংলাকে সেরার পুরস্কারটা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে। কেন্দ্রের তরফে পঞ্চায়েতে রিপোর্টে একদিনে ১৪ টা সম্মান বাংলার সরকার পেয়েছে। ওনারা বিজেপির সস্তা রাজনীতির জন্য এই কুৎসা করেন আর যখন রিপোর্ট প্রকাশ হয় সেখানে বাংলা সব পুরস্কার নিয়ে যায়। ১০০ দিনে কাজে বাংলা যখন দেশের মধ্যে সেরা হল তখন কোথায় ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? বাংলায় আবাস যোজনায় ওনার দলের নেতার বাবার নাম বাড়ির লিস্টে কীভাবে এল?” একইসঙ্গে কুণাল যোগ করেন, “উনি লুটের কথা বলছেন, অথচ দেশ থেকে যারা টাকা নিয়ে গেছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এই বিজেপির শীর্ষ নেতাদের। এবং উনি যে কেন্দ্রের টাকা বলছেন, সেটা কী হিসাবে বলছেন? বাংলা থেকে টাকা যায় কেন্দ্রে, তাহলে সেই টাকার অংশে বাংলার অধিকার থাকবে না এটা কী ধরনের বিচার?” একইসঙ্গে নাম বদল প্রসঙ্গে যোগ করেন, “বিজেপি কেন্দ্রের প্রকল্পে ইন্দিরা গান্ধীর নাম মুছে দিয়েছে। রাস্তাঘাটের নাম বদলেছে। দিল্লির রাজপথের নাম বদলে ‘কর্তব্য পথ’ করা হয়েছে। তাহলে রাজনাথ সিংয়ের নাম বদলে ‘কর্তব্যনাথ সিং’ করে দিন।”