ফ্লপ শো! কর্মবিরতির প্রথমদিনে কোনও প্রভাব নেই সরকারি অফিসে

0
1

বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। কিন্তু ঢাকঢোল পিটিয়ে সেই কর্মবিরতির ডাক নিলেও প্রথমদিনই ফ্লপ শো (Flop Show)। সপ্তাহের প্রথম দিনে রাজ্য সরকারি অফিসের ছবিটা এই রকম। নবান্ন (Nadanna) থেকে শুরু করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ-সহ অন্যান্য সরকারি দফতর সব জায়গাতেই হাজিরা স্বাভাবিক।

কর্মসংস্কৃতি ধ্বংসের এই প্রচেষ্টার যোগ্য জবাব দিয়ে দফতরে উপস্থিতির রেকর্ড ভেঙে দিলেন সরকারি কর্মীদের সিংহভাগ। খোদ রাজ্যের সচিবালয় নবান্নে কর্মবিরতির ডাক উপেক্ষা করে ৯৬ শতাংশের বেশি কর্মী অফিসের কাজে যোগ দিয়েছেন।

সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে নবান্নে কর্মীদের উপস্থিতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, অন্যান্য কাজের দিনের তুলনায় সোমবার সরকারি অফিসে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল অনেক বেশি। ৯৬ শতাংশের বেশি কর্মচারি এদিন কাজে যোগ দিয়েছেন। অন্যান্য দিনে এত সংখ্যক কর্মী কাজে যোগ দেন না সাধারণত। সোমবারকর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ শতাংশ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ডাকা কর্মবিরতিতে সামিল হলেন না নবান্নের অধিকাংশ কর্মচারি।

এবারের রাজ্য বাজেটেই সরকারি কর্মী ৩ শতাংশ DA বাড়ানো হয়েছে। তাতে খুশি বেশিরভাগ কর্মী। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বকেয়া ডিএ-র দাবি নিয়ে গোলমাল বাধানো চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। এ নিয়ে মামলাও চলছে। সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৫ মার্চ। এই পরিস্থিতিতে সোম এবং মঙ্গলবার রাজ্য সরকারি অফিসে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ-সহ ৩২টি সংগঠন। মঙ্গলবার তাতে যোগ দেওয়ার কথা কো-অর্ডিনেশন কমিটি-সহ আরও কয়েকটি সংগঠনের। কিন্তু এদিন ফ্লপ শো দেখে আর তারা সামিল হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

কর্মদিবস নষ্টের বিরোধী বর্তমান রাজ্য সরকার। এই দু’দিন সমস্ত সরকারি অফিস খোলা থাকবে। জরুরি কারণ ছাড়া কোনও ছুটি মঞ্জুর করা যাবে না। তারপরও যদি কেউ ছুটি নেন, তা হলে তাঁর বেতন কাটা যাবে। এমনকী, কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একটি দিন। কড়া অবস্থানে সরকারি কর্মীরা হাজিরা দিয়েছেন। মহাকরণে যাঁরা ডিএ-র দাবির পক্ষে তাঁরাও কর্মবিরতি করছেন না। তাঁদের কথায়, ’’আমাদের কাজ মানুষের জন্য। তাই মানুষের স্বার্থে কাজ করছি।’’ নবান্নে কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে বলেই দাবি।