‘হতাশাগ্রস্ত’ বিজেপি ! গেরুয়া শিবিরকে ধুইয়ে দিলেন বাঘেল

0
2

পদ্মশিবিরকে এক হাত নিলেন কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of Congress-ruled Chhattisgarh) ভূপেশ বাঘেল (Bhupesh Baghel)। বিজেপি (BJP) পায়ের তলায় জমি না পেয়ে কংগ্রেসকে (Congress) ভয় পাচ্ছে বলেই চাঁচাছোলা আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যেভাবে ছত্তিশগড়ে রেড চলছে তাতে বিজেপির দৈন্যদশা, হতাশা প্রকাশ্যে আসছে বলে মত কংগ্রেসের নেতাদের। কংগ্রেসের (Congress) পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের আগে কয়লা শুল্কের অভিযোগে তাঁর দলের সহকর্মীদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)লাগাতার অভিযান চালিয়েছে। এই প্রসঙ্গে টুইট করলেন ভূপেশ বাঘেল (Bhupesh Baghel)। গোটা ঘটনাকে তিনি বিজেপির ‘সস্তার রাজনীতি’ (Third-Rate Politics)বলে কটা*ক্ষ করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য রায়পুরে কংগ্রেসের সম্মেলনের (Congress conference in Raipur) আগে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে সস্তার রাজনীতি করে কংগ্রেস নেতাদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি বলেই অভিযোগ কংগ্রেসের। তিনি জানিয়েছেন, ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্যে এবং আদানির সত্যিটা দেশবাসীর কাছে উন্মোচিত হওয়ায় বিজেপি হতাশ। বাঘেল জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)নেতৃত্বে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পদযাত্রা বিজেপিকে কোণঠাসা করে দিয়েছে। তাই নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার খেলায় মেতেছে গেরুয়া শিবির বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর সোমবার সকালে অন্তত ১৭ টি স্থানে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুর্গের বিধায়ক দেবেন্দ্র যাদব, ছত্তিশগড় কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ রামগোপাল আগরওয়াল, বিল্ডিং ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান সুশীল সানি আগরওয়াল এবং রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র আরপি সিং-এর বাড়ি রয়েছে। কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে যে মোদি সরকার তাদের নেতাদের অকারণে হয়রান করার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে পাঠাচ্ছে। সাম্প্রতিক কালে দেখা গেছে , ইডি এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) দিল্লি এবং তেলেঙ্গানায় ‘দুর্নীতি’র তদন্ত করছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের পর্যবেক্ষণ যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় নেই সেখানেই হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের শাসকদল।

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে নির্বাচন ঘনিয়ে এলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মধ্যে আচমকাই ‘ অতি সক্রিয়তা’ লক্ষ্য করা যায়। জয়রাম অভিযোগ করে বলেন “প্রধানমন্ত্রী যেখানে প্রয়োজন সেখানে ইডিকে তদন্ত করার কথা বলেন না। আসলে সবটাই পূর্ব পরিকল্পিত। ইডি অতীতে যাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে তাঁরা বিজেপিতে গেলেই ‘শুদ্ধ’ হয়ে যান বলেই কটাক্ষ জয়রামের। বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস যে অভিযোগ করে এসেছে কার্যত সেই সুরেই কথা বলে বিজেপিকে ‘ওয়াশিং মেশিন’ আখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত কংগ্রেসের এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামনের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে আলোচনা এই সম্মেলনে আলোচনা করতে চলেছেন কংগ্রেসের নেতারা। এছাড়া ওয়ার্কিং কমিটির প্রধান নির্বাচন করার জন্য দল কী কী পদক্ষেপ করবে তাও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।