শহর জুড়ে বাড়ছে রোগের দাপাদাপি। সর্দি, কাশি, জ্বর, ফুসফুসে সংক্র*মণ নিয়ে ভুগছে বাড়ির ছোট সদস্যরা। চিন্তা বাড়ছে বয়স্কদের নিয়েও। কাশি যেন কিছুতেই কমতে চাইছে না । আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারাও। এর মাঝেই উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে অ্যাডি*নো ভাই*রাস (Adeno Virus)। নাইসেডের রিপোর্টে রীতিমত অস্বস্তি বেড়েছে স্বাস্থ্য ভবনের (Swasthya Bhawan)। শনিবার এই নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবের (Health Secretary)নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনে জরুরি বৈঠক করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কলকাতার সব মেডিক্য়াল কলেজের (Medical College)অধ্যক্ষরা।
যত সময় যাচ্ছে ততই অ্যাডিনো ভাই*রাসে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। নাইসেডের রিপোর্টে বলা হয়েছে গত দেড়মাসে ৫০০-রও বেশি নমুনার মধ্যে ৩২ শতাংশ রোগী অ্যাডি*নো ভাই*রাসে আক্রা*ন্ত। প্রায় ১২ শতাংশের শরীরে মিলেছে রাই*নো ভাই*রাসও। এর পাশাপাশি প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাই*রাসের হদিশ মিলেছে ১৩ শতাংশের শরীরে। পরিসংখ্যান বলছে আইসিইউ-তে (ICU) ভর্তি রোগীদের বেশিরভাগের বয়স ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে। চিকিৎসকদের দাবি, গত দেড় মাসে শিশুদের মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা যথেষ্ট বেড়েছে। এই সবের থেকেই ফুসফুসে সংক্রমণ বাড়ছে। করোনা পরবর্তী সময়ে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই রেসপিরেটারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (Respiratory tract infections)ঘটার ফলে দীর্ঘদিন ধরে কাশি কমছে না। স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকে পেডিয়াট্রিক চিকিৎসকদের একাংশ জানান অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রান্ত প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা করতে হবে জেলা থেকে রাজ্য সর্বত্র। বেসরকারি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই আইসিইউ-তে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুরোগের সাধারণ ওয়ার্ডে জায়গা নেই। রোগীর ভিড় বি সি রায় শিশু হাসপাতালেও। এই বিষয়ে যত দ্রুত পদক্ষেপ করা যায় সেই নিয়ে আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা যায়। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলার হাসপাতাল থেকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার কমাতে হবে,প্রয়োজন হলে নমুনা পাঠাতে হবে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে।