গত কয়েক মাস ধরে দলীয় সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। অভিজ্ঞতা, তারুণ্যের সংমিশ্রণে জেলায় জেলায় মূল ও শাখা সংগঠনের পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করে তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। তার আগে গত মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলায় দলের শাখা সংগঠনের পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অনুমোদনে তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি মনোনীত হলেন আজগার আলি (Azgar Ali)।
দলের গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি (INTTUC) জেলা সভাপতি মনোনীত হলেন চন্দন দে (মান্না), যিনি হলদিয়া টাউন আইএনটিটিইউসি সংগঠনও দেখভাল করবেন।
অন্যদিকে, হলদিয়া টাউন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মিলন মণ্ডলকে। তমলুক জেলা সাধারণ সম্পাদক হলেন শিবনাথ সরকার ও স্বপন নস্কর। পাশাপাশি রাজ্য যুব সংগঠনের সম্পাদক পদে নিযুক্ত করা হল অভিষেক দাসকে।
জেলার রাজনৈতিক মহল বলছে, নয়া পদাধিকারী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে জোর দিয়েছে তৃণমূল। হলদিয়ায় সভা করতে গিয়ে এ কথা আগেই জানিয়ে গিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা ছিল, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তৃণমূল করা চলবে না। রদবদলে সেই বার্তাই আরও স্পষ্ট হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দলের তরফে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)। সংগঠনের কাজে জেলায় বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয় তাঁকে। হলদিয়ায় একটি বাড়ি নিয়ে থাকেন তিনি। আজ, শুক্রবার সেই হলদিয়াতে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাংগঠনিক রদবদলের পর নবনিযুক্তদের সঙ্গে ঘরোয়া সৌজন্য বৈঠক করেন কুণাল।
এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তিনি লেখেন, “হলদিয়া। সাংগঠনিক রদবদলের পর নবনিযুক্তদের সঙ্গে ঘরোয়া সৌজন্য বৈঠক। হলদিয়া তৃণমূল টাউনের নতুন সভাপতি মিলন মন্ডল, তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি আজগর আলি পল্টু, জেলা তৃণমূল আইএনটিটিইউসি সভাপতি চন্দন দে। যাঁরা আগে এই দায়িত্বগুলিতে ছিলেন, রাজ্য নেতৃত্ব তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং ঊর্ধ্বতর অন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। স্বপন নস্কর ও শিবনাথ সরকার জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক দাস রাজ্য তৃণমূল যুবর সম্পাদক। আশা করি হলদিয়া ও তমলুক সাংগঠনিক জেলায় দল আরও ইতিবাচক, ঐক্যবদ্ধ, গতিশীলভাবে এগোবে। জনসংযোগ আরও নিবিড় হবে”।