শনিবার শিবরাত্রি। তার আগে শুক্রবার, বাঁকুড়ার ২ নম্বর ব্লকের বলরামপুর ফুটবল মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান। পরিষেবা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে যান। ফলে করা হয় টিফিনের ব্যবস্থা। কিন্তু এদিন প্রথমে টিফিন নিতে অস্বীকার করেন অনেকে। কারণ কী! টিফিনে ছিল ডিম, কেক, কলা। কিন্তু শিবরাত্রির উপোসের আগের দিন অনেকেই নিরামিষ খান। সুতরাং এই টিফিন (Tiffin) তাঁরা নিতে চাননি। একথা জানতে পেরেই মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি মেনু বদল করার নির্দেশ দেন। বাদ দেওয়া হয় ডিম কেক। বদলে আসে লুচি-তরকারি।
তৃণমূলের বিভিন্ন সভা–সমাবেশ থেকে শুরু করে মিছিল-মিটিং, ‘ডিম–ভাত’ থাকে মেনুতে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্যে যে ‘মা ক্যান্টিন’ চালু হয়েছে, সেখানেও মাত্র পাঁচ টাকায় ডিম–ভাত খেতে পারেন যে কেউ। তবে সেই ডিমই বাদ পড়ল খোদ বাঁকুড়ার সভার টিফিনের তালিকা থেকে।
শিবরাত্রির ঠিক আগের দিন অনেকেই নিরামিষ খান। টিফিনে ডিম দেওয়ায় অনেকেই তা নিতে চাইছিলেন না। সেই খবর পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর কানে। সঙ্গে সঙ্গে ‘মেনু’ বদলের নির্দেশ দেন মমতা। ডিম, কেকের বদলে মেনুতে ঠাঁই হয় লুচি- বাঁধাকপির তরকারি, বিস্কুট, মিষ্টি, ঝুরিভাজার মতো নিরামিষ পদের। শিবরাত্রির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।