আপাতত পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) দিনক্ষণ নিয়ে কোনও ঘোষণা নয়। অন্তর্বর্তী নির্দেশের মেয়াদ বাড়িয়ে স্পষ্ট জানাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। অনগ্রসর শ্রেণীর (Backward class) আসন পুনর্বিন্যাস এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Shuvendu Adhikari) মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার এমন নির্দেশ দিল আদালত (Calcutta High Court)।
শীতের আমেজে তো হল না, তাহলে কি জ্বালাপোড়া গরমে এপ্রিল কিংবা মে মাসেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে রাজ্যবাসীর মনে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election) আগে ‘খেলা হবে’ স্লোগানে রাজ্যে বিজেপির (BJP) খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ (Didike Bolo) আর ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততায় বিফলে গিয়েছিল বিজেপির যাবতীয় গেম প্ল্যান। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে একাধিক দুর্নী**তির অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নানাভাবে বিজেপির কথা মতো রাজ্যে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এর আগেই রাজ্য বিজেপির তরফে বলা হয়েছিল যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট হয় এবং সেই দাবি তুলে আদালতে মামলা পর্যন্ত করেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকার বারবার জানিয়েছে যে বাংলার মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে যেকোনও জরুরি পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত তৃণমূল (TMC) সরকার। কিন্তু বিজেপি এখনও বাংলায় নিজের মাটি শক্ত করতে না পেরে একের পর এক টাল বাহানায় নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যহত করতে চাইছে বলেই অভিযোগ। আদালত সূত্রে খবর শুভেন্দুর মামলার শুনানি আগামী ২৭ তারিখ নাগাদ হতে পারে। তাই ততদিন পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাবে না বলেই জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।