টানটান নাটকীয়তায় ভরা এজলাসে শেষ হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলার শুনানি। মঙ্গলবার শুনানি শেষে জামিনের আবেদন খারিজ করেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফের হাজতবাস।মঙ্গলবার আদালতে ইডি দাবি করে, পার্থকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষ।যদিও পাল্টা পার্থর আইনজীবী বলেন, বাড়িতে মেলেনি টাকা, দলগত অপরাধও নয়। তাই তাকে জামিন দেওয়া হোক।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জীবনকৃষ্ণ শ্রীবাস্তব বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।সেইসময় উনি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেন। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছিল সেই জিজ্ঞাসাবাদ। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে টাকা পাওয়ার অপরাধে আমার মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়।অথচ বলা হচ্ছে, তিনি দলবদ্ধভাবে অপরাধে যুক্ত। অথচ ওঁকে একা জেল হেফাজতে রাখা হচ্ছে। এমনকী বিধায়ক আইনও দেওয়া হয়নি। ইডি-র এক্তিয়ার নেই এই ধরনের মামলা দেওয়ার। এই গ্রেফতারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জামিন দেওয়া হোক। তদন্ত চলুক। সব রকম সাহায্য করা হবে। এর পাল্টা যুক্তি খাড়া করেন ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রথম থেকেই প্রভাবশালী। গ্রেফতারের পরেও তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া গিয়েছে। নিজের অ্যারেস্ট মেমোতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম দিয়েছিলেন। কোনটা উদ্যেশ্য প্রণোদিত বোঝাই যাচ্ছে।
দুই তরফের বক্তব্য শোনার পর বিচারক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, এখানে আপনারা দুটো আবেদন করেছেন। একটিতে মামলা থেকে অব্যাহতি চাইছেন, আবার বলছেন জামিন দিলেও তদন্তে সহায্য করবেন। দু’টি একসঙ্গে হয় কীভাব? এরপরই পার্থর আইনজীবী মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন তুলে নেন।