ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর কেটে গিয়েছে ৬ টা দিন।এখনও শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ। চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ আর লাশের ছড়াছড়ি। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ফের রবিবার রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৭। এরপরই তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার। নতুন করে ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়েছে।

আরও পড়ুন:Turkey Earthquake : আত**ঙ্কের ১০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত, ২৪ হাজারেরও বেশি মৃ*ত্যু তুরস্কে !
গত সপ্তাহে তুরস্ক ও সিরিয়ায় একের পর এক ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শহর। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা শহর। এরপর রবিবার রাত বারোটা নাগাদ কেঁপে ওঠে তুরস্কের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।আগের কম্পনেই প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল কাহরামানমারা এলাকা। সেখানেই ছিল রবিবারের কম্পনের উৎসস্থল।এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। পরিবারে জীবিতরা হন্যে হয়ে খুঁজছে আত্মীয়দের কবর। মৃতের সংখ্যা এতই বাড়ছে যেন আরও কবর খননের জন্য চব্বিশ ঘন্টা কাজ চলছে। তারমধ্যেই দেদার লুটতরাজ চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। বিপর্যস্ত, হতবুদ্ধি মানুষকে বোকা বানিয়ে জালিয়াতি এবং চুরির অভিযোগে গত ৬ দিনে মোট ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে তুরস্কের পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ হাতায় প্রদেশে লুটতরাজের অভিযোগে ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে গাজিয়ানটেপ এলাকায় এক ব্যক্তিকে ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা করার চেষ্টার অভিযোগে আটক করা হয়েছে আরও ৬ জনকে।
সোমবারের ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের দশটি প্রদেশে আগামী তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট তায়ইপ এর্দোগান। সাধারণ আইনে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের ৪ দিন পর্যন্ত আটক করে রাখা যেত। তবে জরুরি অবস্থা চলাকালীন লুঠতরাজের ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের আটক করে রাখার মেয়াদ আরও ৩ দিন বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।








































































































































