টানা সাত ঘণ্টা সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেফতার গথা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক

0
1

ভবানী ভবনে সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মুর্শিদাবাদের সুতি গথা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে গ্রেফতার করল সিআইডি। যদিও ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি এদিন সিআইডির ডাকে সাড়া দিয়ে হাজিরা দেননি।
সোমবার ভবানী ভবনে ডেকে প্রধান শিক্ষককে টাকা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ স্কুলে নিয়মের তোয়াক্কা না করে ছেলে অনিমেষকে চাকরি পাইয়ে দেন ওই প্রধান শিক্ষক। সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হল, অনিমেষ যে বছর চাকরি পান স্কুলে, সেই বছর চাকরির পরীক্ষাই হয়নি। তাহলে চাকরি কী করে হল? তৎকালীন শিক্ষা দফতর কীভাবে নিয়োগপত্র দিল ? আশিস তিওয়ারির কাছ থেকে এই প্রশ্নেরই উত্তর জানতে চান সিআইডি আধিকারিকেরা।যদিও কোনও প্রশ্নেরই যুক্তিযুক্ত উত্তর দিতে পারেননি ওই প্রধান শিক্ষক।এর আগে মুর্শিদাবাদে দু’বার ছেলে ও বাবা দুজনকেই তলব করেছিল গোয়েন্দারা। সোমবার ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি হাজিরা না দেওয়ায় সিআইডি আরও কড়া পদক্ষেপ নেবে বলে জানা গিয়েছে।
এবার সিআইডি গোটা বিষয়টি হাইকোর্টে জানাবে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী, হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে সিআইডি। শুধুমাত্র বাব ছেলেই নয়, মুর্শিদাবাদের সুতি গথা স্কুলে বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগে এবার সিআইডির নজরে আছে সেই সময় দায়িত্বে থাকা শিক্ষা দফতরের কর্তাদের উপরেও। তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের ছেলে অনিমেষ চাকরি পেয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে। এ নিয়ে শিক্ষা দফতরের ভূমিকা কী ছিল, তা-ও জানতে চায় সিআইডি। এই মামলায় সুতি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সদস্য, স্কুলের কর্মচারী, শিক্ষক-সহ মোট ২০ জনকে মুর্শিদাবাদে সিআইডি সেখানকার ডিআই অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
সিআইডি গোয়েন্দারা তদন্তে জানতে পারেন, ২০১৯ সালে অনিমেষ তিওয়ারি ডেপুটেশনে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। ২০২১ তার চাকরি স্থায়ী হয়।অথচ ওই বছর কোনও পরীক্ষাই হয়নি। তার আগে কোনও পরীক্ষাতেই বসেননি অনিমেষ। পরীক্ষা না হলে অনিমেষ চাকরি হল কী করে? অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবা আশিস তিওয়ারি প্রভাব খাটিয়ে ছেলে অনিমেষকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন।
অভিযোগ, অনিমেষ তিওয়ারির নামে নিয়োগের কোনও সুপারিশ পত্রই ইস্যু করা হয়নি। তিনি কীভাবে শিক্ষক হিসেবে স্কুলে চাকরি করছিলেন, সেই বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি।