নির্বাচনমুখী ত্রিপুরায়(Tripura) ‘ভোট পাখি’ হয়ে উড়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। বিজেপি(BJP) শাসনে ত্রিপুরায় উন্নয়ন যজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার পাশাপাশি কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বাম-কংগ্রেসকে(Left-Congress)। জানালেন, একটা সময় ত্রিপুরায় সমস্ত ক্ষেত্রে সুবিধা পেতে ‘তোলা’ দিতে হত। সেই তোলা সমস্যা এখন মিটে গিয়েছে। এখন আর চাঁদা দিতে হয় না। অন্য কোনও রাজনৈতিক দল তাদের পতাকা লাগাতে পারত না৷ এখন আর তা হয় না।

শনিবার আমবাসায় বিজেপির জনসভায় উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একযোগে আক্রমণ শানান বাম ও কংগ্রেসকে। কটাক্ষ করে বলেন, “এখানে একটাই শব্দ ছিল, চাঁদা। বাড়ি করতে চাঁদা, রাস্তা করতে চাঁদা, কোনও কাজ করলেই চাঁদা দিতে হত। আর এখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসে সেই চাঁদা বন্ধ করে দিয়েছে। আগে তো থানাতেও চাঁদা দিতে হত। বামপন্থীরা সব কব্জা করে রেখছিল। কোনও আইনের শাসন ছিল না। আমাদের কর্মীদের ওপর অত্যাচার হয়েছে।” এর পাশাপাশি তাঁর দাবি, “এখানে সরকারি কর্মচারীদের সুবিধা ছিল না। এখন তাদের বেতন বা অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। আজ এই ধলাই জেলায় আমি যেখানে বক্তব্য রাখছি, সেটি আগে পিছিয়ে পড়া জেলা ছিল। আর এখন দেশের মধ্যে অন্যতম উন্নয়নশীল জেলা। আর এটাই ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সুবিধা।”
বিজেপি সরকারের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরে মোদি আরও বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম আমরা ‘HIRA’ নিয়ে এগোচ্ছি। হাইওয়ে, ইন্টারনেট, রেল, এয়ারওয়েজ। চেয়ে দেখুন নয়া রাস্তা হচ্ছে। যাঁরা বিমানবন্দরে আসেন তাঁরা দেখে অবাক হয়ে যান। গ্রামে গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার ও মোবাইল টাওয়ার বসিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তিন গুণ কাজ হয়ে গেছে এই সংযোগে। আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা আপনাদের মনের কথা শুনেই কাজ করছেন।” বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জনিয়ে মোদি আরও বলেন, “কংগ্রেস-বাম ছল চাতুরী করেছে। এরা কুশাসন করতে চাইছে। এদের পেছন থেকে বেশ কিছু দল সাপোর্ট করছে। এদের কথায় ফাঁদে পা দেবেন না। ১৬ তারিখ পদ্ম চিহ্নের বোতাম টিপবেন। সবার ঘরে ঘরে যান, আর বলবেন,আমাদের মোদি জি এসেছিলেন, আর উনি আপনাদের প্রণাম জানিয়েছেন। আমার এই কথা সকলের কাছে পৌঁছে দিন।”
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক হিংসামুক্ত ত্রিপুরা ও চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে উত্তর-পুর্বের এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। তবে ৫ বছরে এখানে বেকারত্ব বেড়ে গিয়েছে আরও বহুগুন। রাজনৈতিক হিংসা লাগামছাড়া রূপ নিয়েছে। অনুন্নয়নের তালিকা এত বেড়েছে যে মেয়াদ শেষের আগেই মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হয়েছে এই রাজ্যে। এবারের নির্বাচনে যে বিজেপির জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছে সে কথা টের পেয়েই এবার সিপিএম জমানার সঙ্গে বিজেপি জমানার তুলনা টেনে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।









































































































































