‘বিশ্বাসঘাতক’ বিজেপির বিরুদ্ধে এবার সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিল নন্দীগ্রাম

0
1

বিজেপির অপপ্রচারে নন্দীগ্রামের কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে সাময়িক ভাবে সরে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতা, কর্মীদের নীবিড় জনসংযোগের ফলে তাঁরা ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) উন্নয়নেই আস্থা রাখতে শুরু করেছেন। বিশ্বাসঘাতক বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে এবার সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিল নন্দীগ্রাম (Nandigram)। শনিবার, নন্দীগ্রাম ব্লক ২-এর বয়ালে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে এই ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সভার অন্যতম বক্তা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, উন্নয়নটা তৃণমূলই করছে। উল্টোদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও তাঁদের আর্থিক নীতি মানুষের জীবন কঠিন করে তুলছে। তা থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে ধর্মকে হাতিয়ার করে বিভাজনের খেলায় নেমেছে বিজেপি। কিন্তু এই ভেদাভেদ বাংলায় চলবে না।

কুণালের কথায়, “আমিও তো হিন্দু। কিন্তু এই বিজেপির হিন্দুত্ব হল ভেজাল হিন্দুত্ব। এরা হিন্দুর বন্ধু নয়, মুসলমানের বন্ধু নয়, খ্রিস্টানদেরও বন্ধু নয়। এভাবে ধর্মের নামে যাঁরা ভেদাভেদের রাজনীতির ব্যবসা করেন তাঁরা কারও বন্ধু হতে পারে না।” কুণাল বলেন, তৃণমূলই হল মানুষের আসল বন্ধু। রাজ্য সরকার মানুষের জন্য একাধিক প্রকল্প এনেছে।

শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) তীব্র কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, উনি এখন RAC বিধায়ক, ওনার বিধায়ক পদ কনফার্ম হয়নি। কারণ ওনার বিধায়ক পদ নিয়ে মামলা আদালতে এখনও বিচারাধীন।

সভার শেষে অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী তথা তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সি (Aditi Munsi)। বক্তৃতার পর তিনি সঙ্গীত পরিবেশন করেন। শ্রোতাদের তরফে আসে একাধিক অনুরোধ। হাসিমুখে তাঁদের আবদার মেটান অদিতি। গানের সময় মঞ্চের সামনে শ্রোতাদের সঙ্গে মাটিতে বসে পড়েন কুণাল ঘোষ। সেখান গান শোনার পাশাপাশি শ্রোতাদের সঙ্গে জনসংযোগেও মেতে উঠেন তৃণমূল মুখপাত্র। সভায় কুণাল ঘোষ, অদিতি মুন্সি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি, বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র, নন্দীগ্রাম ব্লক ১-এর সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ, নন্দীগ্রাম ব্লক ২-এর সভাপতি অরুণাভ ভুঁইয়া, জেলা যুব সভাপতি অভিজিৎ দাস-সহ জেলার অন্যান্য নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন- অর্থ দফতরের উদ্যোগ, সরকারি বিভিন্ন দফতরের বকেয়া বিল জমা দেওয়ার নির্দেশ