কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে শিক্ষকদের বদলি নিয়ে সাতদফার নতুন গাইডলাইন (Guideline) প্রকাশ করল স্কুল শিক্ষা দফতর। আর গাইডলাইন অনুযায়ী, কোনও শিক্ষককে মেয়েদের স্কুলে বদলি করা যাবে না! এই নির্দেশিকা জারি হতেই তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে, গাইড লাইনে স্কুলের ছাত্রছাত্রী (Student) ও শিক্ষকশিক্ষিকার (Teacher) অনুপাত বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে ।
*একনজরে নয়া গাইড লাইন-*
• প্রতিটি স্কুলে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকশিক্ষিকার অনুপাত বজায় রাখতে হবে।
• যে সব স্কুলে পড়ুয়ার তুলনায় শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বেশি, সেখান থেকে কম শিক্ষকশিক্ষিকার স্কুলগুলিতে বদলি করতে হবে।
• শিক্ষকের ঘাটতির কারণে যে সব স্কুলে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেই সব স্কুলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
• নতুন যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের শিক্ষক-শিক্ষিকা কম রয়েছে, এমন স্কুলে পাঠাতে বলা হয়েছে।
• জেলার যে স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি, সেখানকার শিক্ষককে ওই জেলারই কম শিক্ষক থাকা স্কুলে বদলি করা যেতে পারে।
• কোনও শিক্ষককে মেয়েদের স্কুলে বদলি করা যাবে না।
• বদলির সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঠিকানার কথাও মাথায় রাখতে হবে।
• বদলির সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাসস্থানের ঠিকানাও মাথায় রাখতে হবে।
• তা যদি মানা সম্ভব না হয়, তবে সেই জোন-এর অধীনে কোনও স্কুলে বদলি করতে হবে।
• বদলির সময় শিক্ষকশিক্ষিকার পড়ানোর বিষয় এবং মাধ্যম যাতে একই থাকে, তাও মাথায় রাখতে হবে।
যাঁদের অবসরের ২ বছর বা তার কম সময় বাকি রয়েছে, যাঁদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যাঁদের বাড়িতে ছোট সন্তান রয়েছে, গাইডলাইনে তাঁদের বদলি না করার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজনৈতিক মদতে হেনস্থা, এবার বিশ্বভারতীকে কড়া চিঠি অমর্ত্যর আইনজীবীর
কোন স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কম, কোথায় বেশি রয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই-কে স্কুল শিক্ষা দফতরকে জানাতে হবে বলেও গাইড লাইনে বলা হয়েছে।