ঈশ্বর নয় জাতি-ধর্মের ভেদাভেদ পণ্ডিতরা নিজেদের স্বার্থে তৈরি করেছেন। সম্প্রতি এক সভায় দেশের পণ্ডিত সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এভাবেই আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের(RSS) প্রধান মোহন ভাগবত(Mohan Bhagwat)। সেই মন্তব্যের জন্য ভাগবতের বিরুদ্ধে বিহারের(Bihar) এক আদালতে দায়ের হল মামলা। অভিযোগ করা হয়েছে আরএসএস প্রধানের মন্তব্য ব্রাহ্মণদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক।
গত রবিবার মুম্বইয়ের (Mumbai) সন্ত শিরোমনি রোহিদাসের ৬৪৭ তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হন মোহন ভাগবত। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের একাংশকে একহাত নিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, “ক্ষমতা, সম্মানে সব মানুষই এক। কারও সঙ্গে কারও প্রভেদ নেই। অনেক পণ্ডিত শাস্ত্রের নামে যা বলে থাকেন, তা আসলে মিথ্যা। তাঁরাই মানুষে মানুষে জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভাগাভাগি করেন। জাতিভেদ প্রথা আমাদের বিপথে চালিত করে। আর যা এমন বিভ্রম তৈরি করে, তা দূরে সরিয়ে রাখাই ভাল।” একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, “প্রত্যেকের উচিত, অন্যের ধর্মকে আঘাত না করে নিজের ধর্ম পালনে মনোযোগী হওয়া। সেই কাজটুকু করলেই সমাজের ভাল হবে। মানবসমাজ একত্রিত হবে।” আরএসএস প্রধান ভাগবতের মুখে এহেন মন্তব্য শুনতে বেমানান লাগলেও। তাঁর মন্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন ব্রাহ্মণরা। অভিযোগ করা হন ব্রাহ্মণদের সরাসরি অপমান করেছেন ভাগবত।
বিপাকে পড়ে আরএসএসের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, ভাগবত কোনওভাবেই ব্রাহ্মণদের অসম্মান করেননি। তিনি ‘পণ্ডিত’ বলতে বুদ্ধিজীবীদের বুঝিয়েছেন ব্রাহ্মণদের নয়। যদিও সংঘের সাফাইয়ে পরিস্থিতি আয়ত্বে আসেনি। ক্ষুব্ধ ব্রাহ্মণদের তরফে আবার মোহন ভাগবতের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করলেন সুধীর কুমার ওঝা নামে এক আইনজীবী। বিহারের মুজফফরপুরের এক আদালতে দায়ের হওয়া এই মামলায় মামলাকারির দাবি, নিজের বক্তব্যে আরএসএস প্রধান পণ্ডিতদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। সব মিলিয়ে এবার বেশ বিপাকে পড়লেন ভাগবত।