বেআইনিভাবে তৈরি হয়েছিল লজ (Lodge)। এবার সেই লজ ভাঙার নির্দেশ দিল বিষ্ণুপুর পুরসভা (Bishnupur Municipality)। বিষ্ণুপুরের জোড় বাংলার পাশেই রয়েছে প্রাচীন সৌধ গুমগুড়। আর তার মাঝেই তৈরি হয়েছিল বিশাল আকারের ওই লজ। তবে পুরাতত্ত্ব বিভাগের (Department of Archaeology) নিয়ম অনুযায়ী কোনও প্রাচীন সৌধের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও নির্মাণ করা যায় না। ২০০ মিটারের মধ্যে নির্মাণ করতে গেলেও প্রয়োজন হয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের অনুমতির। কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। আর সেইসব নিয়মকে অগ্রাহ্য করেই বেআইনি নির্মাণ তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
তবে এবার লজ কর্তৃপক্ষকে তৃতীয়বার নোটিস দিয়ে বিষ্ণুপুর পুরসভা সাফ জানিয়ে দিল আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। নাহলে পুর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ইতিমধ্যে পুরসভার তরফে কর্মীরা ওই লজে গিয়ে নোটিশ (Notice) টাঙিয়ে দিয়েছে বলে খবর।
এদিকে পুরাতত্ত্ব বিভাগ জানিয়েছে, বিষ্ণুপুরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সংরক্ষিত মন্দির জোড় বাংলা থেকে ওই নির্মাণের দূরত্ব মেরেকেটে ৭৫ মিটার। বিষ্ণুপুর পুরসভার পুরপ্রধান গৌতম গোস্বামী জানান, তাঁদের তরফেও নির্মাণের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নজরে আসার পর ২০২১ সালে তৎকালীন নির্মীয়মাণ লজ কর্তৃপক্ষকে নির্মাণকাজ বন্ধের নোটিস দেয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ। কিন্তু তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় পরবর্তীতে পরপর দু’বার লজ কর্তৃপক্ষকে নোটিস দেয় বিষ্ণুপুর পুরসভা। কিন্তু তারপরও নির্মাণ কাজ শেষ করে পুরো মাত্রায় লজ চালু করে দেয় কর্তৃপক্ষ এমনটাই অভিযোগ।