তুরস্ক-সিরিয়ার মতো চরম পরিণতি হতে পারে ভারতের? সরকারি রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য

0
3

তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়ায় (Syria) ভূমিকম্পে (Earthquake) লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যে ৮ হাজার পেরিয়েছে সংখ্যা। তবে এখনও ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছেন বহু মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রবল তুষারপাত ও কুয়াশার মধ্যেই জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। তবে এমন বিপর্যয় যদি ভারতে (India) নেমে আসে তাহলে কী হবে? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভারতের একাধিক শহর রয়েছে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের তালিকায়।

সম্প্রতি এক সরকারি রিপোর্টে হাতে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, ভারতের প্রায় ৫৯ শতাংশ ভূমিই ভূমিকম্পপ্রবণ। যার মধ্যে ৫৯ শতাংশ ভূমির মধ্যে পড়ছে আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বহু শহর। এই শহরগুলিকে জোন ফাইভ-এ রাখা হয়েছে। যেখানে সর্বোচ্চ তীব্রতার ভূমিকম্প আছড়ে পড়তে পারে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং(Jitendra Singh) লোকসভায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছিলেন। তিনি বলেন, দেশের সিসমিক জোনিং ম্যাপ অনুযায়ী মোট এলাকাকে চারটি সিসমিক জোনে ভাগ করা হয়েছে। সেই মোতাবেক জোন ৫-এ সবচেয়ে তীব্রতর ভূমিকম্প হয়। আর সবথেকে কম মাত্রার ভূমিকম্প হয় জোন ২-এ।


তবে রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের সবথেকে বেশি ভূমিকম্প প্রবণ ও জোন ৫-এতে থাকা শহরগুলো যে রাজ্যে অবস্থিত, সেগুলি হল- গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, অসম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি তিনটি সক্রিয় সিসমিক ফল্ট লাইনের কাছাকাছি অবস্থিত। এই তিনটি ফল্ট লাইন হল সোহনা, মথুরা এবং দিল্লি-মোরদাবাদ। আর এগুলি সক্রিয় হলে উচ্চ তীব্রতার একটি ভূমিকম্প আছড়ে পড়তে পারে দেশে।