স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) গ্রুপ ডি-র (Group D Recruitment) নিয়োগ সংক্রান্ত (Recruitment) মামলায় ফের সিবিআইকে (CBI) ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে গ্রুপ ডির নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। আর সেই শুনানি চলাকালীন ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃতির ঘটনায় কেন নিয়োগ পাওয়াদের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) করা হয়নি? সিবিআই-এর উদ্দেশে সেই প্রশ্নই তুললেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswait Basu)। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিন সিবিআইকে আক্রমণ করে বিচারপতি জানান, ফৌজদারি মামলা বা ক্রিমিনাল কেস হলে অভিযুক্ত নিজেকে প্রমাণ করবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের জেলের পাশাপাশি জরিমানাও হতে পারে। বিচারপতি এদিন সিবিআই-কে প্রশ্ন করেন, ওএমআর বিকৃতি সংক্রান্ত পাঁচটি মামলা চলছে, তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও এফআইআর হয়নি? ১৬৯৮ জনের ওএমআর শিট বিকৃত হয়েছে বলে অভিযোগ। এদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে? তা জানতে চান বিচারপতি।
পাশাপাশি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আরও প্রশ্ন করেন, এই মামলার মূল চক্রী কে? একজন নথি তৈরি করেছে, আর এক দল সুবিধা পেয়েছে। এরা দুজনেই কি সমান দোষী? আপনারা এদের প্রত্যেককে কেন ক্রিমিনাল কেস দিচ্ছেন না? তবে সিবিআই আধিকারিকরা বুধবারও বিচারপতির প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি। এদিন শুধু সিবিআই নয়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছেও বিচারপতি জানতে চান, যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কড়া পদক্ষেপ করা সম্ভব হচ্ছে না? কেন নোটিস দেওয়া হচ্ছে না এদের? পর্ষদ উত্তরে জানায়, পর্যাপ্ত কর্মী নেই। তাই কাজ করতে দেরি হচ্ছে।