কয়েক সেকেন্ডের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে তরস্ক। গোটা একটা শহর জুড়ে শুধুই ধ্বংসস্তূপ। চারিদিকে স্বজন হারানোর কান্না। ভয়াবহ ভূমিকম্পের(Earthquake) জেরে গত ২৪ ঘন্টায় তুরস্ক (Turkey) এবং প্রতিবেশী উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় (Syria) মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
সোমবার ভোরে ব্যাপক ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক সহ প্রতিবেশী সিরিয়া। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.৯। কম্পনের জেরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তুরস্কের বিশাল বিশাল বহুতল। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েন হাজার হাজার মানুষ। উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকার্যে নামলেও প্রকৃতি রুষ্ট এখনও। দফায় দফায় ছোট বড় মিলিয়ে আরও অন্তত ৫০ বার আফটার শক হয়েছে সেখানে। এদিকে তুরস্কের তাপমাত্রা রাতারাতি নেমে গিয়েছে হিমাঙ্কের নীচে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া বা গৃহহীনদের অবস্থা আরও খারাপ করেছে আবহাওয়া। ফলে যারা ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে আছেন তাদের অনেকেরই মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ঠাণ্ডার জেরে। প্রবল ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজও। এই পরিস্থিতিতে সেখানকার মানুষকে সাহায্য করতে ভারত থেকেও উদ্ধারকারী দল গিয়েছে তুরস্কে। প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। তবে পরিস্থিতি যা তাতে মৃতের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা কেউ জানে না। এদিকে যাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে পর্যাপ্ত চিকিৎসাও পাচ্ছেন না তারা। কারণ হাসপাতালেও তিল ধারনের জায়গা নেই।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১৯৩৯ সালে শেষবার এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্কে। সেবারও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৩ হাজার মানুষ। সঙ্কটের এই মুহূর্তে তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। তুরস্ক যাচ্ছে NDRF-এর দুটি উদ্ধাকারী টিম, সঙ্গে ডগ স্কোয়াড। প্রচুর ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রীও পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে।