ভূ*মিকম্পবিধ্বস্ত তুরস্ক-সিরিয়ায় হাহাকার! মৃ*তের সংখ্যা ৩৮০০ পার

0
4

তুরস্ক এবং সিরিয়া যেন মৃত্যুপুরী।ভূমিকম্পের জেরে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। বর্তমানে ৩৮০০ ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা।শেষ পাওয়া সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ,দু’দেশের ভূমিকম্পের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৮৩৯ জনের। যার মধ্যে শুধু তুরস্কেই মৃত্যু হয়েছে ২, ৩৭৯ জনের। সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৩৬ জন। দু’দেশের আহতের সংখ্যাও কয়েক হাজার।

আরও পড়ুন:মৃত্যু*পুরী তুরস্ক–সিরিয়া, প্রবল ভূমিকম্পে নি*হত ২৫০০–র বেশি 

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ বলছে, সে দেশে কমপক্ষে ৫৬০৬টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও দু’দেশের প্রশাসনের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ওই দুই দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

দুই দেশে ভূমিকম্পের পর থেকেই শুরু হয়েছে হাহাকার। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে এবং প্রিয়জনদের খোঁজার তাগিদে আর্তি চোখে পড়ছে। কিছু কিছু পরিবারে শোকপালন করার মতো সদস্যও বেঁচে নেই। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দুই দেশের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে মৃতদেহ। চারিদিকে শুধু কান্নার রব।

সিরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দেশে মৃত ১,১৩৬ জনের মধ্যে সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাতে ৭১১ জন মারা গিয়েছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগই আলেপ্পো, হামা, লাতাকিয়া এবং তারতুস অঞ্চলে।

সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোরে ৪টে নাগাদ কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কে। প্রথম কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-র মতে, এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। এর প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আবার শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় তুরস্কে। সে বার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৫।

১৯৩৯ সালের পর তুরস্কে এই প্রথম এত শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হল। ইউএসজিএস জানিয়েছে, সে বছরও তুরস্কে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৮। এরজিনকান প্রদেশে ভূমিকম্পে সে বার ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ৭ কম্পাঙ্কের ভূকম্প গত ২৫ বছরে ৭ বার অনুভূত হয়েছে তুরস্কে।