সোমনাথ বিশ্বাস, আগরতলা: আগরতলায় পদযাত্রায় জনজোয়ার। সেই সমর্থনই বার্তা দিচ্ছে ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলের পাশে আছে। বাম-কংগ্রেস নয়, ত্রিপুরায় তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প। কারণ বিজেপির বিরুদ্ধে আমরাই একমাত্র লড়ছি। মঙ্গলবার, রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে জনসভা থেকে এই বার্তায় দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, “যত মানুষ আজ পদযাত্রায় মানুষে পা মিলিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলকে (TMC) ভোট দিলেই বিজেপি ভোকাট্টা”।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই করছে তৃণমূল। এরপরেই বাংলায় তৃণমূল সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন অভিষেক। তিনি স্পষ্ট জানান, তৃণমূল শুধু ভাষণ দেয় না, যে কথা দেয়, তা বাস্তবায়িত করে। এরপরেই তাঁর প্রশ্ন, বাংলা যদি পায়, ত্রিপুরা কেন পাবে না!
বিজেপিকে তুলোধনা করে অভিষেক বলেন, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন মানে কেন্দ্রেও চুরি, রাজ্যেও চুরি। কোনও উন্নয়ন হয় না। শুধু বিরোধীদের উপর অত্যাচার। অভিষেক বলেন, কীভাবে তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উপর ত্রিপুরায় অত্যাচার হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে খোয়াই থানায় ১০-১২ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন অভিষেক।
এরপরেই ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। জানান, ২০২১-এ ত্রিপুয়া গিয়ে তিনি বলেছিলেন বিপ্লব দেব হলেন বিগ ফ্লপ দেব। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি।
অভিষেক স্পষ্ট বার্তা দেন, যে কোনও প্রার্থীকে জোড়াফুলে ভোট দেওয়া মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ভোট দেওয়া। ত্রিপুরায় পরিবর্তনের সরকার প্রতিষ্ঠা করার ডাক দিয়ে অভিষেক বলেন, ত্রিপুরায় দুয়ারে গুন্ডা নয়, দুয়ারে সরকার হবে।









































































































































