কোঝিকোড়ের বাসিন্দা জিয়া পাভালের।এই খবরে অবাক হওয়ার মতো কিছু প্রাথমিকভাবে না থাকলেও, তারাই দেশের প্রথম রূপান্তরকামী বাবা-মা হতে চলেছেন।
দু’বছর আগে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। দেখা হওয়ার পরেও তাঁরা হরমোন থেরাপির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তাঁদের মনে অভিভাবক হওয়ার ইচ্ছে জাগে। তাই কিছু দিনের জন্য তাঁরা তাঁদের হরমোন থেরাপি বন্ধ রেখেছিলেন। এরপর সন্তানের মুখ দেখার ইচ্ছে জাগে জাহাদের।জানা গিয়েছে, পুরুষ থেকে নারী হওয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এর মাঝেই জাহাদ অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এখন তিনি আট মাসের গর্ভবতী। নারী সত্ত্বা না থাকলেও পুরুষ শরীরে বেড়ে উঠছে নতুন প্রাণ। ভারতে এমন ঘটনা প্রথম।
এর আগে আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা, রূপান্তরকামী উইলি সিম্পসনও মা হয়েছিলেন। তিনি অবশ্য নারী থেকে পুরুষ হওয়ার মাঝে গর্ভবতী হয়েছিলেন। পাভেল একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন,তাঁদের বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। জাহাদ ম্যাস্টেক্টমি সার্জারি করতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু গর্ভাবতী হওয়ার কারণে এই প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। তবে তাঁদের গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বেশি পাশে থেকেছেন বা সমর্থন করেছেন তাঁদের চিকিৎসকরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ট্রান্সজেন্ডার দম্পতি সমাজের পাশাপাশি পরিবারও বয়কট করে। জাহাদ ও জিয়া আরও বলেছেন “আমারা একটি শিশু চেয়েছিলাম , যাতে এই পৃথিবীতে আমরা নিজেদের কিছু রেখে যেতে পারি”।
জাহাদ পেশায় অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তিনি সন্তান পালনের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। জিয়া একজন নৃত্য শিক্ষিকা। দু’জনেই পরিবার ছেড়ে চলে এসেছেন একে অপরের পাশে থাকার জন্য। তবে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ব্রেস্ট মিল্ক ব্যাঙ্ক থেকে দুধ নিয়ে তাঁদের সন্তানকে পান করাবেন বলে জানিয়েছেন এই ট্রান্সজেন্ডার দম্পতি।



































































































































