গু*লি করে বেলুন নামানোর পরই আমেরিকার ওপর বেজায় চটল চিন!

0
2

আমেরিকার আকাশসীমায় ঢুকে পড়া রহস্যময় চিনা বেলুনকে শনিবারই গুলি করে নামাল আমেরিকা। সে দেশের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন দাবি করেছিল, আমেরিকার সামরিক কেন্দ্রগুলির উপর নজরদারি চালাচ্ছে চিনের ওই বেলুনটি। যদিও আমেরিকার দাবি মানতে চায়নি চিন। শনিবার সেই বেলুনকে গুলি করে নামিয়ে আটলান্টিকে ডুবিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই তার উদ্ধারকাজ চলছে। তবে এই নিয়ে গর্জে উঠেছে চিন।

আরও পড়ুন:আমেরিকার আকাশে ফের ‘স্পা*ই বেলুন’! পেন্টাগনের দাবি ওড়াল চিন   
রবিবার এ বিষয়ে মুখ খোলে চিন। গুলি করে বেলুনটি নামানোর সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আমেরিকার উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বেজিং প্রশাসনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
বেজিংয়ের তরফে বলা হয়েছে, আমেরিকা যা করেছে তার ফল তাদের ভুগতে হবে। চিন এর যোগ্য জবাব দেবে। বেজিংয়ের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, নাগরিক বিমান ব্যবহার করে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ অনৈতিক।
পেন্টাগনও চুপ করে বসে নেই। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, “চিনের বেলুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করছিল। তাই আইন মেনে যা করার করা হয়েছে।”
চিনের অবশ্য বক্তব্য, ওই বেলুন কোনও গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ছিল না। আটলান্টিক উপকূলে পরিবেশ, আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছিল। যদিও বেজিংয়ের এ হেন দাবি অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি।

বেলুনটিকে বাইডেন সরকারের প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিন সেটিকে গুলি করে নামানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু বেলুনটির মধ্যে কোনও তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকলে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে পড়ে বিপত্তি ঘটার আশঙ্কা ছিল। পরে দক্ষিণ ক্যারোলিনা উপকূলের কাছে বেলুনটিকে গুলি করে নামানো হয়। বেলুন ধ্বংসের পর বাইডেন বলেন, ‘‘আমরা সফল ভাবে বেলুনটি নামিয়েছি। আমি আমাদের বিমান আধিকারিকদের এর জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই।’’