রাজ্যে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ স্কুল পড়ুয়া মে মাসে প্রথম সেট স্কুল ইউনিফর্ম পাবে। চলতি শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয় সেট পাবে জুলাই মাসে। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে স্কুল ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছিল। তাই এবার একটু দেরিতে ইউনিফর্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত এই বিশাল সংখ্যক ইউনিফর্ম তৈরি করছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। এই ইউনিফর্মগুলির কাপড় যাতে উচ্চ মানের হয় তাই আধুনিক পাওয়ার লুম খুলতে সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার। ১ কোটি মিটার কাপড় তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এই পাওয়ারলুম গুলিতে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি কতটা এগিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে শনিবার নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন এইচকে দ্বিবেদী। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দফতর, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগ দফতর, সমবায়, স্বাস্থ্যসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব ও আধিকারিকরা।

বস্ত্রশিল্পে উৎসাহ ভাতা চালু হওয়ার পর উন্নত মানের পাওয়ারলুম পুরো দমে কাজ করছে। পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাঁতীদের ব্যঙ্ক ঋণ শোধের জন্য কীভাবে সহায়তা করা যায় তার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। এছাড়াও রাজ্যের তাঁতীরা সরকারি সংস্থা ছাড়াও বেসরকারি সংস্থার কাছে যাতে তাঁদের উৎপাদিত বস্ত্র বিক্রি করতে পারে তার জন্য একটি পোর্টাল চালু করা হবে। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ঋণ শোধে সহায়তা করার আগে প্রাথমিক তাঁতী সমবায় সমিতির সদস্যদের আর্থিক পরিস্থিতি সমীক্ষা করে দেখা হবে। এই মুহুর্তে তন্তুজ, মঞ্জুশ্রী, বঙ্গশ্রী সংস্থাগুলির কাছে তাঁতীরা এখন কাপড় বিক্রি করেন। এরপর পোর্টালের মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থার কাছেও কাপড় বিক্রির সুযোগ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিধানসভার অধিবেশনে প্রাইভেট বিল নিয়ে প্রস্তাব আনতে পারে সরকার




 
 
 
 































































































































